জিটিএ এখন গুরুংহীন। তবে গুরুংকে এখনই হাল্কাভাবে নিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। ফলে জিটিএ বোর্ডের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বার্তা পাহাড়কে আর অশান্ত হতে দেবেন না। দার্জিলিং (Darjeeling) থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ে শান্তি থাকলেই পাহাড়ের অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব।
নির্বাচনে জিটিএ বোর্ড দখল করেছে অনীত থাকার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ও তাদের শরিক তৃ়ণমূল কংগ্রেস। জয়ের পর অনীত থাপা গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে সওয়াল করেছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী পৃথক গোর্খাল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান অনড় রেখেছেন।
মঙ্গলবার জিটিএর নব নির্বাচিত সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার পাহাড়ের মানুষের কাছে আবেদন করেন, কথা দিন, পাহাড়ের মানুষকে আর অশান্ত হতে দেবেন না।
বলেছেন, আপনারা দেখুন পাহাড়ে যদি একটি হোম স্টে হয়, তাহলে তার আয় কত হয়। আমরা লামাহাটা থেকে হোম স্টে পলিসি শুরু করেছিলাম। দার্জিলিংয়ের ভিতরেই আরও এক নতুন শহর আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে। নতুন শহরের অর্থ নতুন শিল্পনগরী। দোকান, সেফ হাউজ, হোম স্টে, সবটাই থাকবে সেখানে।
রাজ্যে বাম জমানার পর ২০১৬ সালে বিমল গুরুং এবং রোশন গিরিদের নেতৃত্বে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার হিংসাত্মক আন্দোলনে মুখ থুবড়ে পড়ে পাহাড়ের পর্যটন। একেবারে অচল হওয়ার মুখে অর্থনৈতিক অবস্থাও। মাঝে দুই বছর করোনার কারণে অবস্থা আরও বেসামাল হয় ওঠে। এরপর ২০২২ সালে জিটিএ নির্বাচনে গুরুং হয়ে গেছেন ব্রাত্য। তাঁর ভোট বয়কট আহ্বান উড়িয়ে শান্তিপূর্ণ জিটিএ ভোট হয়েছে। পাহাড়ি রাজনীতিতে গুরুং এখন নি:সঙ্গ।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ে এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আগে দেখিনি। পাহাড়ের মানুষ যা পারে তা অনেকেই পারে না। আমার বন্ধুত্ব চাই। ঝগড়া চাই না। আমাদের একটাই লক্ষ্য, পাহাড় ভাল থাক। পাহাড় এগিয়ে থাক। পাহাড়ের হাসি দেখতে চাই। কাঞ্চনজঙ্ঘার হাসি দেখতে চাই। বিশ্বাস রাখবেন।