শিলিগুড়ি: প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা-ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ (North Bengal)। রবিবার দুপুর পর্যন্ত দার্জিলিং (Darjeeling) সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০! ভেঙে গিয়েছে রাস্তা, বাড়িঘর। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বন্যপ্রাণ। ইতিমধ্যেই মিরিক সহ দার্জিলিং-এর একাধিক জায়গায় উদ্ধারকার্যে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (NDRF) ডিআইজি (DIG) মোহসেন শাহেদী জানিয়েছেন, দার্জিলিং, শিলিগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ৩ টি NDRF দলকে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, মালদা এবং কলকাতাতেও ২ টি দলকে পাঠানো হয়েছে। “যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া গ্রামগুলিকে চিহ্নিত করে উদ্ধারকাজে নেমেছেন বাহিনীর সদস্যরা”, বলে জানিয়েছেন শাহেদী।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিরিক (Mirik)
শনিবার রাতভোর বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিরিক লেক এলাকা। এনডিআরএফ (NDRF) কর্মীরা জীবিতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। এনডিআরএফ এবং জেলা প্রশাসনের প্রতিবেদন অনুসারে, এখন পর্যন্ত নয়জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে, এবং দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।
এছাড়াও, সরসালি, জসবীরগাঁও, মিরিক বস্তি, ধরগাঁও (মেচি) এবং মিরিক হ্রদের আশেপাশের এলাকা থেকে হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। ধরগাঁওয়ের ধ্বংসস্তূপ থেকে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে ভারী কাদা ধসের নিচে বেশ কয়েকটি বাড়ি চাপা পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
দার্জিলিং-এ চলছে উদ্ধারকাজ
একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অবিরাম বৃষ্টিপাত এবং পিচ্ছিল ভূখণ্ডের কারণে উদ্ধারকারী দলগুলিকে বড় ধরণের বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। “অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেক বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে এবং খাড়া ঢালে মাটি সরানোর মতো যন্ত্রপাতি কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছে।”
মিরিকের (Mirik) বিষ্ণুলাল গাঁও, ৩ নং ওয়ার্ড লেক সাইড এবং জসবীর গাঁও থেকে বেশ কয়েকটি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় এনজিওগুলির সাহায্য নিয়ে জেলা প্রশাসন অস্থায়ী ত্রাণ শিবির স্থাপন করেছে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।