অসম থেকে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেই এ রাজ্যে সফর আপাতত স্থগিত করে দিল্লি যাবেন (Rahul Gandhi) রাহুল গান্ধী। পরে যাত্রা হবে বলে জানান তিনি। রাহুল গান্ধী এদিন অসমের গোলকগঞ্জ থেকে কোচবিহারের বক্সিরহাটে আসেন। সেখানে ঢোকা মাত্রই পুলিশের বিরূদ্ধে করেছেন অভিযোগ। কংগ্রেসের অভিযোগ, বক্সিরহাটে কোনও নিরাপত্তা দেয়নি পুলিশ। সেক্ষেত্রে ঘটনাস্থলে ভিড় সামলালেন খোদ রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের অভিযোগ কোনও পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি বক্সিরহাটে। তাই রাস্তায় নেমে ভিড় ঠেলে জমায়েত সরাচ্ছে খোদ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশের আগেই এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সাথে জোট বার্তা দেন রাহুল। তবে তৃণমূল নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা জোট বার্তা প্রত্যাখ্যান করেন। এদিনও বারবার জোট বার্তা আসে কংগ্রেস তরফে।
লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছে কংগ্রেস। আর তার পথ ধরেই ১৪ বছর পর আবার কোচবিহারের মাটিতে পা রাখলেন রাহুল গান্ধী।রাহুল গান্ধীকে স্বাগত জানাতে ভিড় করেন কংগ্রেস কর্মীরা। সবাই হাতে হাত মেলাতে ব্যস্ত। আজ, বৃহস্পতিবার অসম থেকে বাংলার মাটিতে পা রেখেছেন রাহুল গান্ধী।
এদিকে অসম–বাংলা সীমানায় মঞ্চ বেঁধে তাঁকে বরণ করা হয় বৈরাতি নৃত্যে। গাওয়া হয় ভাওয়াইয়া গান। স্থানীয় রাজবংশী শিল্পীরা দেখালেন নিজস্বতা। বক্সিরহাট সভামঞ্চে তাঁকে বরণ করেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে অধীর বললেন, ‘যেখানেই রাহুল গান্ধী যাবেন, সেখানেই মানুষের ঢল নামবে।’
বক্সিরহাটেই রাহুলের হাতে পোড়া মাটির মা দুর্গার মূর্তি তুলে দেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। তারপর সভা মঞ্চ থেকে রাহুল গান্ধী বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ‘আরএসএস–বিজেপি মিলে দেশজুড়ে হিংসা ছড়াচ্ছে। তার প্রতিবাদ করতেই হবে। বাংলার মানুষের কথা শুনতেই আমি এসেছি।’
অন্যদিকে বক্সিরহাট থেকে প্রায় দশ কিমি কোচবিহার শহরের দিকে এগোলেই জাতীয় সড়কের পাশে চামটা গ্রাম। সেখানে রাহুল গান্ধী ও তাঁর সঙ্গে আড়াইশো কংগ্রেস কর্মীর জন্য মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেনুতে থাকছে বোরোলি মাছ। ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাহুল গান্ধী জানান, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই এই জোট। বাংলার মানুষের কথা শুনতেই তাঁর রাজ্যে আসা। বিজেপি–আরএসএস যে হিংসার পরিবেশ তৈরি করেছে সেটার অবসান ঘটাতে হবে।