‘এখনও গোপনে সিপিএম’ কটাক্ষ মেখেই বিধায়ক শংকরের দাবি ২১ জুলাই সমাবেশ হাস্যকর

শিলিগুড়ির তাবড় সিপিআইএম নেতা ছিলেন শংকর ঘোষ। তাঁর রাজনৈতিক গুরু আলোচিত নেতা অশোক ভট্টাচার্য। বাহুতে কমিউনিস্ট নেতা চে গুয়েভারার উল্কিটা ঢেকে রাখেন! এমন আগুনে বাম…

শিলিগুড়ির তাবড় সিপিআইএম নেতা ছিলেন শংকর ঘোষ। তাঁর রাজনৈতিক গুরু আলোচিত নেতা অশোক ভট্টাচার্য। বাহুতে কমিউনিস্ট নেতা চে গুয়েভারার উল্কিটা ঢেকে রাখেন! এমন আগুনে বাম নেতা এখন বিজেপি বিধায়ক। তিনি যখন ঘোরতর বাম তখনই রাজ্যে ঘটেছিল ২১ জুলাই গুলিচালনা ও যুব কংগ্রেস সমর্থকদের মৃত্যু।

দল-মত ছাড়লেও শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের দাবি, তৃ়ণমূল কংগ্রেসের ২১ জুলাই সমাবেশ হাস্যকর। তিনি বলেছেন, যেখানে রাজ্যে এত সমস্যা,সেখানে এত টাকা খরচ করে একুশে জুলাই এর কোন দরকার হয় না। তৃ়ণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে শংকর ঘোষ বলেছেন, যদি উনি সত্যি সত্যি কিছু করতে চান তবে শিক্ষিত বেকারদের চাকরির ব্যবস্থা করুন।

গত বিধানসভা ভোটের আগে শিলিগুড়ির তাবড় সিপিআইএম নেতা শংকর ঘোষ বিজেপিতে যোগ দেন। শিলিগুড়িতে গুরু অশোক ভট্টাচার্যকে পরাজিত করেন। তবে তাঁকে ঘিরে তিস্তা-মহানন্দা পারের রাজনীতিতে আলোচনা, ‘শংকর ঘোষ গোপনে সিপিএম করেন’!

সিপিআইএম তথা বামফ্রন্ট শাসনে ১৯৯৩ সালে ততকালীন যুব কংগ্রেসের উত্তেজিত মিছিল থেকে হামলার অভিযোগে গুলি চালায় পুলিশ। মারা যান ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মী সমর্থক। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব মণীশ গুপ্ত এমনই দাবি করেন। তিনি পরে তৃ়ণমূল কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী হন। পরে এই দিনটিকে প্রতিবছর পালন করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা।

শিলিগুড়ির বিধায়ক বাম থাকাকালীন একুশে জুলাই সমাবেশের সমালোচনা করেছেন। এখন বিজেপি হয়েও টিএমসি সমাবেশের কটাক্ষ করছেন। তিনি বলেছেন, এই একুশে জুলাই যেসব সমর্থকরা যায়, তাদের অত্যচারে উত্তরবঙ্গ থেকে সাধারন যাত্রীরা যেতে পারেন না। এখন যদি করোনা বেড়ে যায় তবে কি মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব নেবেন?

শংকর ঘোষ বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর মন্ত্রীরা সবাই কোনও না কোনও কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে আছেন, অথচ মুখ্যমন্ত্রীর কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। একুশে জুলাই যারা মারা গেছেন মুখ্যমন্ত্রী যদি সত্যি সত্যি কিছু করতে চান তবে তাদের পরিবারের একজনকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিন। না হলে এই দুর্দিনে একুশে জুলাই পালন করলে মানুষের মঙ্গলের চাইতে অমঙ্গল বেশি হয় ।