বঙ্গ বিজেপির (BJP) অন্দরে বালী-সুগ্রীব লড়াই বলে কুখ্যাত গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব। সেই গোষ্ঠিবাজির জেরে শুরু হয়েছে গণপদত্যাগ। নেতা কর্মীরা পদত্যাগ করেই চিঠি পাঠাতে শুরু করেছেন রাজ্য দফতর কলকাতার মুরলীধর সেন লেনের ঠিকানা। বিধানসভায় বিরোধী দল বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে এমন পদত্যাগ বন্যায় তীব্র আতঙ্ক রাজ্য দফতরে। উত্তরবঙ্গ থেকে আসছে দু:সংবাদ।
উত্তরবঙ্গে পদত্যাগের হিড়িক পদ্মফুল শিবিরে। দল ছাড়ছেন শতাধিক। ফাঁকা হচ্ছে পদ্ম শিবির। একের পর এক দল ছাড়ছেন কর্মীরা। দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়িতে পদত্যাগের হিড়িক। দল ছাড়লেন প্রায় শতাধিক কর্মীরা। সংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ফাঁসিদেওয়ার বিধায়ক দুর্গা মুর্মু। এর আগে শিলিগুড়ি সংগঠনিক জেলার ৪ সহ সভাপতি সহ, মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী সহ একাধিক বিজেপি কর্মী তাদের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এবার ফের দলের কর্মীরা দল ছাড়ার ঘটনা সামনে আসছে।
গত বিধানসভা ভোটে শিলিগুড়িতে জয়ী হয় বিজেপি। সিপিআইএম ছেড়ে বিজেপির বিধায়ক হন শংকর ঘোষ। তিনিও এই গণপদত্যাগের ধাক্কায় বেসামাল। শিলিগুড়িতে পদ্ম শিবিরে পদত্যাগের হিড়িক দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। দল ছেড়েছেন শতাধিক কর্মীরা। এর পেছনে কি বিরোধীদের চক্রান্ত? নাকি দলের মধ্যে থাকা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? প্রশ্ন উঠছে একাধিক। তবে এখনও মেলেনি দলের পক্ষ থেকে কোনও সদুত্তর।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপির একাধিক কর্মী সমর্থকরা দল ছেড়ে তৃণমূল কিংবা কংগ্রেসের যোগদান করেছিলেন। পদ্মফুল ছেড়ে দলে দলে ভিড় জমিয়েছিলেন ঘাসফুল শিবিরে। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। এবার দল ছাড়ার হিড়িক যেন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।