কলকাতা: ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (Bengal weather forecast)-র সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গ উভয় অঞ্চলেই শুকনো আবহাওয়া বিরাজ করবে, কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তর বঙ্গের সমতল অঞ্চলে সকালের ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা বা ধোঁয়াশার ছোঁয়া পড়তে পারে, যা যাতায়াতকে একটু কষ্টদায়ক করে তুলবে। দক্ষিণ বঙ্গে আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে, কলকাতা ও আশেপাশে তাপমাত্রা স্বাভাবিক দিনের সর্বোচ্চ ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি, রাতের সর্বনিম্ন ১৫ ডিগ্রির উপরে।
এই পূর্বাভাস শুনে স্থানীয়রা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন, কারণ গত কয়েকদিনের ঠান্ডা ঢেউয়ের পর এমন শান্ত আবহাওয়া একটা বিরতি দেবে।আইএমডি-র কলকাতা অফিসের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরবর্তী সাত দিন ৭ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তর বঙ্গের সব জেলায় এবং দক্ষিণ বঙ্গের প্রায় সকল অঞ্চলে শুকনো আবহাওয়াই প্রাধান্য পাবে।
অবসরের দুশ্চিন্তা শেষ! পোস্ট অফিস SCSS দিচ্ছে ৮.২% রিটার্ন
বিশেষ করে ৮ ডিসেম্বরকে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে, কোনো সিনপটিক সিস্টেম বা নিম্নচাপের প্রভাব নেই, তাই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা শূন্য। উত্তর বঙ্গে, যেমন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার বা কোচবিহারের মতো জেলাগুলোতে সকালে কুয়াশার আস্তরণ হতে পারে, যা দৃষ্টিসীমা কমিয়ে ট্রেন-বাসের যাত্রীদের জন্য ঝামেলা বাড়াতে পারে।
তাপমাত্রার কথা বললে, উত্তর বঙ্গের সমতলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০-১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে, দিনের তাপমাত্রা ২২-২৪ ডিগ্রিতে। হিমালয়ের উচ্চভূমিতে, যেমন দার্জিলিংয়ে, রাতের তাপমাত্রা ৭-৮ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে আসতে পারে, যা স্থানীয়দের জন্য শীতবাস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে দেবে। আর্দ্রতার মাত্রা ৭০-৮০ শতাংশের মধ্যে থাকবে, এবং বাতাসের গতি হালকা থেকে মাঝারি, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৮-১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
দক্ষিণ বঙ্গের কথা আসলে, কলকাতা, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা বা বর্ধমানের মতো জেলাগুলোতে আবহাওয়া আরও আরামদায়ক হবে। আকাশে মেঘের মেলা নেই, শুষ্ক আবহাওয়ায় দিনটা গরম-গরম কাটবে, তবে সন্ধ্যা হতেই ঠান্ডা বাড়বে। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চারপাশে, সর্বনিম্ন ১৫ ডিগ্রি যা স্বাভাবিকের কাছাকাছি।
গতকালই বিরভূমের শ্রীনিকেতনে তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি নেমেছিল, যা এই শীতের প্রথমবারের মতো নিচের দিকে। কিন্তু আইএমডি বলছে, পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি বেড়ে যাবে, যাতে রাতের ঠান্ডা একটু কম লাগে।
কোনো বৃষ্টি বা ঝড়ের আশঙ্কা নেই, তবে আর্দ্রতা ৬৫-৭৫ শতাংশ থাকায় ত্বক শুষ্ক লাগতে পারে। বাতাসও শান্ত, ৫-৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এই অঞ্চলে কোনো সতর্কতামূলক সংযোগ নেই, শুধু সাধারণ শীতকালীন পরামর্শ গরম কাপড় পরুন, বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের জন্য।
