কলকাতা: শরৎকালের মাঝে বঙ্গের আকাশ আজকের মতোই অপ্রত্যাশিত। দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরের উপর সুস্পষ্ট নিম্নচাপ এলাকার সৃষ্টির সম্ভাবনা এবং বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া একটু জমজমাট হয়ে উঠেছে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি)-এর সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, আজ উত্তর বঙ্গের অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যখন দক্ষিণ বঙ্গে শুষ্ক এবং উষ্ণ আবহাওয়া প্রাধান্য পাবে। এই পূর্বাভাস শুধু আজকের দিনের নয়, বরং আগামী সপ্তাহের গতিপথও নির্দেশ করছে, যা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন, কৃষি কাজ এবং যাতায়াতকে প্রভাবিত করতে পারে।
ট্রসার্ডের গোলে ফুলহ্যামকে হারিয়ে শীর্ষে আরও শক্ত আর্সেনাল
আইএমডির কলকাতা আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে, উত্তর বঙ্গের জেলাগুলো দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদাআজ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের মুখোমুখি হবে।
স্ক্যাটার্ড থেকে ফেয়ারলি ওয়াইডস্প্রেড বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় থান্ডারস্টর্মের সাথে যুক্ত হতে পারে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে, যখন সর্বনিম্ন ২২ থেকে ২৫ ডিগ্রির আশেপাশে। আর্দ্রতার মাত্রা ৭০ থেকে ৯০ শতাংশের মধ্যে ঘুরপাক খাবে, যা বাতাসের গতি ১০-১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বইয়ে আসার কারণে আরও অস্বস্তিকর অনুভূতি তৈরি করবে।
এই অঞ্চলে বৃষ্টির কারণে নিম্নভূমি এলাকায় জলাবদ্ধতার ঝুঁকি রয়েছে, বিশেষ করে চা বাগান এবং কৃষিভিত্তিক কাজকর্মে বাধা পড়তে পারে। আইএমডির সতর্কতায় বলা হয়েছে, যদি বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ে, তাহলে হেলোয়েলোয়েজিং (হলুদ সতর্কতা) জারি করা হতে পারে, যা মানুষকে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে বলছে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ বঙ্গের অঞ্চল কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর আজ শুষ্ক এবং পরিষ্কার আকাশের আশ্রয় পাবে।
মেইনলি ক্লিয়ার টু পার্শিয়ালি ক্লাউডি স্কাই থাকবে, যাতে হালকা কুয়াশা বা ধোঁয়া সকালে দেখা দিতে পারে। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।
অন্যান্য জেলায়ও একই রকমের উষ্ণতা, যেখানে আর্দ্রতা ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ৮-১২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে বইবে। এই অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম, মাত্র ১০-২০ শতাংশ, যা শহুরে জীবনকে স্বাভাবিক রাখবে। তবে, উষ্ণতার কারণে দুপুরের দিকে বাইরে থাকলে সানস্ট্রোকের ঝুঁকি থাকতে পারে, তাই হালকা পোশাক এবং জলপানের উপর জোর দিন বলে আইএমডি পরামর্শ দিয়েছে।