কলকাতা: শীতকালের প্রথম দিনেই বাংলার আকাশে হালকা কুয়াশার পর্দা। যা সকালের শহরগুলোকে একটু রহস্যময় করে তুলেছে। আজ ১ ডিসেম্বর, ২০২৫—এই দিনে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের আবহাওয়া কেমন হবে, তা নিয়ে সবার চোখ আটকে আছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের (আইএমডি) পূর্বাভাসে। ভালো খবর হলো, দুই অংশেই মূলত শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে, কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমে যাওয়ার কারণে ঠান্ডা একটু বাড়তে পারে, বিশেষ করে উত্তর বঙ্গের পাহাড়ি এলাকায়। কলকাতা রিজিয়নাল মেটারোলজিক্যাল সেন্টারের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, গ্যাঙ্গেটিক ওয়েস্ট বেঙ্গলের জেলাগুলোতে পরবর্তী দু’দিন নাইট টেম্পারেচারে বড় পরিবর্তন নেই, কিন্তু তারপর তিন দিন ধরে ২-৩ ডিগ্রি নেমে আসতে পারে।
ইরানকে উড়িয়ে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে বিবিয়ানোর ছেলেরা
এটি শীতের আগমনের প্রথম সংকেত বলে মনে হচ্ছে, যা কৃষক থেকে শহুরে জীবনযাপী সবাইকে একটু সতর্ক করে তুলেছে।উত্তর বঙ্গের কথা বললে, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের মতো জেলাগুলোতে আজ আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টি হওয়ার কোনো চান্স নেই। আইএমডি-এর এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ ফরকাস্টে বলা হয়েছে, নর্থ বেঙ্গলে ২১-২৭ নভেম্বরের মতোই ২৭ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মূলত শুষ্ক আবহাওয়া চলবে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে, যখন সর্বোচ্চ ২৪-২৬ ডিগ্রির আশেপাশে। দার্জিলিংয়ের মতো পাহাড়ি জায়গায় সকালে হালকা কুয়াশা দেখা দিতে পারে, যা ভিজিবিলিটি কমিয়ে দিয়ে ড্রাইভিংয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলছে। স্থানীয় কৃষকরা এই শুষ্কতা দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন, কারণ ধান কাটার পর এখন মাটি শুকিয়ে নতুন ফসলের জন্য প্রস্তুতি চলছে।
দক্ষিণ বঙ্গে, যেখানে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমের মতো জেলাগুলো পড়ে, সেখানকার আবহাওয়া আরও স্থিতিশীল। আইএমডি-এর সাউথ বেঙ্গল ওয়েদার ফরকাস্ট অনুসারে, আজ দিনের তাপমাত্রা ২৫-২৭ ডিগ্রি এবং রাতের ১৭-১৯ ডিগ্রির মধ্যে ঘুরবে। কলকাতায় সকালে হালকা কুয়াশা থাকলেও দুপুর নাগাদ আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে, এবং শুষ্ক হাওয়া ১০-১৫ কিলোমিটারের স্পিডে বইতে পারে।
সর্বশেষ প্রেস রিলিজে আইএমডি জানিয়েছে, সাউথওয়েস্ট বে অফ বেঙ্গলের উপর কোনো সাইক্লোনিক স্টর্মের প্রভাব নেই, তাই বৃষ্টি বা ঝড়ের কোনো আশঙ্কা নেই। তবে, পরবর্তী তিন দিনে নাইট টেম্পারেচারে ২-৩ ডিগ্রির পতন হতে পারে, যা কলকাতার মতো শহরে রাতের হাঁটতে গিয়ে একটু কাঁপুনি আনতে পারে।
