বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে প্রশ্নের মুখে বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মন, উত্তাল পরিস্থিতি

অয়ন দে, কোচবিহার: উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একাধিক নদীর জলস্তর বিপদসীমার উপরে, বহু এলাকা প্লাবিত, হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন। প্রশাসনের…

BJP MLA Baren Chandra Barman’s visit to flood-affected

অয়ন দে, কোচবিহার: উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একাধিক নদীর জলস্তর বিপদসীমার উপরে, বহু এলাকা প্লাবিত, হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন। প্রশাসনের ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চললেও, বাস্তব চিত্রে অসংখ্য মানুষ এখনও পানিবন্দি অবস্থায়। এর মাঝেই রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াল বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মনের (Baren Chandra Barman) সফরকে ঘিরে।

Advertisements

মঙ্গলবার বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মন বন্যা দুর্গত কিছু এলাকা পরিদর্শনে যান। মূলত বন্যার প্রকৃত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা, দুর্গত মানুষদের সঙ্গে কথা বলা ও প্রশাসনিক তৎপরতা সম্পর্কে সরেজমিনে ধারণা নেওয়াই ছিল তাঁর সফরের উদ্দেশ্য। কিন্তু এলাকায় পৌঁছতেই শুরু হয় বিক্ষোভ।

   

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়ক যখন বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন হঠাৎ করেই কিছু তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের অভিযোগ, বিজেপি এই দুর্যোগের সময়ও রাজনীতি করতে মাঠে নেমেছে। তাঁরা স্লোগান দেন—”বন্যা নিয়ে রাজনীতি চলবে না”, “ত্রাণ চাই, নাটক নয়”।

বিক্ষোভের ফলে কিছু সময়ের জন্য পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যদিও পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে এবং কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

বিক্ষোভের পর বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মন সাংবাদিকদের বলেন,“আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিলাম। ওরা আমাদের রাজনৈতিক সফর বলে কুৎসা রটাচ্ছে। তৃণমূল সরকার প্রশাসনিক ব্যর্থতা ঢাকতেই আমাদের বিরুদ্ধে নাটক করছে। মানুষের কষ্টকে ঢেকে রাখতেই এই ধরনের বাধা তৈরি করছে তৃণমূল কর্মীরা।”

তিনি আরও জানান, প্রশাসনের একাংশ তৃণমূলের নির্দেশে কাজ করছে। এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছায়নি, অথচ শাসকদল ‘চাপা মারার রাজনীতি’ করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। জলমগ্ন বহু গ্রামে এখনও পৌঁছায়নি পর্যাপ্ত ত্রাণ। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক তরজা মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলছে। রাজনৈতিক দলগুলির উচিত সম্মিলিতভাবে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে—একপক্ষ অপরপক্ষকে দোষারোপ করছে।