কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলা, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

durgapur-gang-rape-sukanta-majumdar-alleges-police-cover-up

নবদ্বীপ: নদিয়ার নবদ্বীপে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কনভয়ে হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় ফেরার পথে বাসস্ট্যান্ডের কাছে দুষ্কৃতীরা ইট, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে কনভয়ের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় দুই বিজেপি কর্মী গুরুতর আহত হন এবং কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

Advertisements

বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, হামলার পিছনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রয়েছে। ঘটনার পর রাজ্য রাজনীতি ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

   

সুকান্ত মজুমদার ওই দিন নদিয়ায় একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। প্রথমে তাহেরপুরে একটি দলীয় বৈঠক, এরপর জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে থানাঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। পরে নবদ্বীপে পৌঁছে রাশ উৎসব উপলক্ষে ভিড় জমে থাকা এলাকায় বিজেপির “যাত্রী নিবাস” শিবিরে যোগ দেন মন্ত্রী।

কর্মসূচি শেষ করে যখন তাঁর কনভয় নবদ্বীপ বাসস্ট্যান্ডের দিকে ঘুরছিল, তখনই আচমকা কয়েকজন দুষ্কৃতী ইটবৃষ্টি ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়, কয়েকটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়।

ঘটনার পর রাস্তায় নেমেই সুকান্ত মজুমদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমার দুই কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। যদি পুলিশ প্রশাসন অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করে, তাহলে বিজেপি নিজেই ব্যবস্থা নেবে। এই রাজ্যে আর আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।”

Advertisements

বিজেপি নেতা সজল ঘোষের দাবি, “এই রাজ্যে এখন হামলা প্রতিদিনের ব্যাপার। প্রশাসন চোখ বন্ধ করে আছে। নেতাদের উপর এমন হামলা হলে কর্মীরা নিরাপত্তা পাবে কীভাবে? কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এবার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।”

উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ আগেই উত্তরবঙ্গের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। সেসময় খগেন মুর্মুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তার কয়েকদিনের মধ্যেই ফের সুকান্ত মজুমদারের উপর এই হামলা রাজ্যের রাজনৈতিক অশান্তির নতুন নজির তৈরি করল বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।

এদিকে, তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং হামলার দোষীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্বের উপর ধারাবাহিক হামলার প্রবণতা বাড়িয়ে তুলছে, যা ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক পরিবেশ আরও উত্তপ্ত করতে পারে।