শিলিগুড়ির (Siliguri) যানজট সমস্যার সমাধান দিতে শুরু হলো নতুন বাসস্ট্যান্ডের (New Bus Stand) উদ্বোধন (Inaugurated) করা হলো। দীর্ঘ অপেক্ষার পর, ২৫ নভেম্বর বুধবার শিলিগুড়ির তিনবাত্তি মোড়ে নতুন বাসস্ট্যান্ডটির উদ্বোধন করেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব (Gautam Deb)। এটি তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসের পর শহরের দ্বিতীয় বড় বাসস্ট্যান্ড। শিলিগুড়ি শহরের যানজট (Traffic) কমানোর পাশাপাশি যাত্রীদের সুবিধার্থে এটি নির্মিত হয়েছে।
নতুন বাসস্ট্যান্ডটি শিলিগুড়ির (Siliguri) চারটি গুরুত্বপূর্ণ রুটে বাস পরিষেবা চালু করবে, যার মধ্যে পানিট্যাঙ্কি, খড়িবাড়ি, নকশালবাড়ি এবং পাহাড়গুমিয়া রুট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই চারটি রুটে আপাতত মোট ১২টি সরকারি বাস চলবে। বাসগুলি শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে চলাচল করবে এবং এটি স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পর্যটকদেরও অনেক সুবিধা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার মেয়র গৌতম দেব জানিয়েছেন, শিলিগুড়ি কোর্ট মোড় থেকে চলাচল করা বেসরকারি লোকাল বাসগুলিকেও নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও, বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে এখনও আলোচনা চলমান, তবে শীঘ্রই তাদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে বাসগুলিও এই নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে চলাচল শুরু করবে।
এদিকে, নতুন বাসস্ট্যান্ডটি প্রায় আড়াই একর জমির উপর নির্মিত হয়েছে। এটি শহরের তিনবাত্তি মোড় থেকে গেট বাজার যাওয়ার রাস্তার পাশে অবস্থিত। এখানে আগে এনবিএসটিসি-র অফিস ছিল, যা পরে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ছিল। শিলিগুড়ি পুরসভা সেই জমিতেই নতুন বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এবং প্রথম পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর উদ্বোধন করা হয়।
তবে, এখনও কিছু কাজ বাকি রয়েছে, যেমন টিকিট কাউন্টার নির্মাণ। মেয়র গৌতম দেব জানিয়েছেন, শীঘ্রই বাকি কাজগুলো শেষ হয়ে যাবে এবং ডিসেম্বর মাস থেকেই বাস পরিষেবা শুরু হবে। নতুন বাসস্ট্যান্ডের মাধ্যমে শিলিগুড়ির (Siliguri) তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস এবং কোর্ট মোড় থেকে যাতায়াত করা বাসগুলির চাপ কমবে এবং শহরের যানজট অনেকটা হ্রাস পাবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা এবং পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা আশা করছেন, নতুন বাসস্ট্যান্ডের চালু হওয়ায় শিলিগুড়ির (Siliguri) পরিবহন ব্যবস্থায় এক বড় পরিবর্তন আসবে। তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে যাত্রীদের অত্যাধিক চাপ থাকার কারণে যানজট বৃদ্ধির সমস্যা থাকলেও, নতুন বাসস্ট্যান্ডের ফলে শহরের অন্যান্য স্থানেও যান চলাচল আরও সুষ্ঠু হবে।