West Bengal recruitment: পারিবারিক বৃক্ষে বসে এখনও ফল খাচ্ছে তৃণমূলের নেতারা!

অঙ্কিতা অধিকারী৷ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (West Bengal recruitment) প্রথম চাকরি গিয়েছিল তাঁর। পরিচয়ে তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা৷

Image showing people protesting against recruitment corruption in West Bengal

অঙ্কিতা অধিকারী৷ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (West Bengal recruitment) প্রথম চাকরি গিয়েছিল তাঁর। পরিচয়ে তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা৷ এরপর একাধিক চাকরি বাতিল হয়েছে আদালতের নির্দেশে। সেখানেও একাধিক তৃণমূলের নেতাদের পারিবারিক যোগাযোগের কথা বলা হচ্ছে বারবার। তাই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে বিরোধী দলের নেতাদের পারিবারের সদস্যদের খতিয়ান নিয়ে বসেছেন শাসক দলের নেতারা। দলনেত্রীর নির্দেশে সেই চিরকুটের চাকরি খুঁজতে বসে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে শাসক দলকে!

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেন, যাঁরা কাদা ছুড়ছেন, তাঁরা কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়ছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের নিয়ে কুৎসা করার আগে আপনার পরিবারে আর কে কে আছেন, যাঁরা সরকারের বিভিন্ন পদে চাকরি করেন, তা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন! না করলে তৃণমূল তা প্রকাশের দিকে যাবে।

   

কুণালের জবাব দিয়ে সুজন চক্রবর্তী দাবি করেন, ওটা চিরকুট নয়, জয়েনিং লেটার। পদ্ধতি মেনে পরীক্ষা দিয়েই আমার স্ত্রী চাকরি পেয়েছিলেন। কোনও রকম অনিয়ম হয়নি। যেটাকে তৃণমূল চিরকুট বলছে, সেটা আসলে জয়েনিং লেটার। তাঁর স্ত্রী যে পদে চাকরি পেয়েছিলেন, সেই পদেই অবসর নিয়েছেন। বামফ্রন্ট আমলে যে কোনও দুর্নীতি হয়নি, এটাই তার প্রমাণ।

সম্প্রতি ভাইয়ের চাকরি বাতিল হওয়ার পরেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মহাতো৷ এমনকি ওএমআর শিট ফরেন্সিক টেস্টের দাবি করেন তিনি৷ আদালতের নির্দেশে বাল্মিকীর ভূমিকায় কমিশন অবতীর্ণ হতেই মুখ পুড়ছে শাসক দলের। তাতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে গিয়ে দলকেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। সূত্রের খবর, শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে আগামী দিনে আরও চাকরি বাতিলে সংখ্যা বাড়বে৷ সেখানেও বাড়ছে চলেছে শাসক দলের নেতাদের পরিবারের সদস্যদের সংখ্যা৷