নন্দীগ্রামে বিজেপিতে ভাঙন, কোন্দল তৃণমূলের অন্দরে

কলকাতা: নন্দীগ্রাম-কে জড়িয়ে রয়েছে বঙ্গ রাজনীতির উত্তজেনা। আরও একবার চর্চার কেন্দ্রে নন্দীগ্রাম। বিধানসভা ভোটের আগে শুরু হল ফুল বদলের হিড়িক৷  তৃণমূলে ‘ঘর ওয়াপসি’ একদিকে বিজেপি…

Nandigram political shift

কলকাতা: নন্দীগ্রাম-কে জড়িয়ে রয়েছে বঙ্গ রাজনীতির উত্তজেনা। আরও একবার চর্চার কেন্দ্রে নন্দীগ্রাম। বিধানসভা ভোটের আগে শুরু হল ফুল বদলের হিড়িক৷ 

তৃণমূলে ‘ঘর ওয়াপসি’

একদিকে বিজেপি থেকে তৃণমূলে ‘ঘর ওয়াপসি’ করলেন ৫০-র বেশি নেতা-কর্মী। অন্যদিকে তৃণমূলেরই এক সভা রণক্ষেত্রের রূপ নিল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে। বিক্ষোভের মুখে সভা মঞ্চ ছাড়লেন দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অরুণাভ ভুঁইয়া।

   

নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের একটি কমিউনিটি হলে এদিন ছিল তৃণমূলের কর্মীসভা ও যোগদান অনুষ্ঠান। উদ্দেশ্য ছিল দলবদলকারী কর্মীদের স্বাগত জানানো ও আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি। কিন্তু সেই সভাতেই আচমকা ক্ষোভে ফেটে পড়ে দলের একাংশ। অভিযোগ ওঠে, অরুণাভ ভুঁইয়ার নাকি বিজেপির সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রয়েছে। শুরু হয় স্লোগান, উত্তেজনা ছড়ায় মঞ্চের আশপাশে। দলীয় কর্মীদের একাংশ সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে।

অরুণাভর বক্তব্য Nandigram political shift

শেষমেশ অস্বস্তি কাটিয়ে মঞ্চ ত্যাগ করেন অরুণাভবাবু। সভার বাইরে এসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “কর্মীরা যদি ভুল বোঝে, সেটা আমাদেরই দেখতে হবে। তাই জেলা সভাপতির অনুমতি নিয়ে সভা থেকে বেরিয়ে এসেছি।”

Advertisements

যদিও বিজেপির পাল্টা প্রতিক্রিয়া এসেছে দ্রুতই। তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, “তৃণমূল নিজেদের মধ্যেই বিশ্বাস করতে পারছে না। ওদের অস্তিত্বই এখন প্রশ্নের মুখে। যে ক’জন গিয়েছে, তারা কর্মী হতে পারে, কোনও নেতা নয়।”

তৃণমূলের দাবি

তৃণমূলের দাবি, বিজেপির ‘ভুয়ো প্রচার’ ও ‘জনবিচ্ছিন্ন নীতির’ প্রতিবাদেই বহু মানুষ এখন দলে ফিরছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ বলছেন, “নন্দীগ্রামে এখন মূল শক্তি তৃণমূলই। বিজেপি কেবল মিডিয়া দখলে রাখছে, মাটি নয়।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নন্দীগ্রাম কেবল একটি ব্লক নয়—এটা এক প্রতীক। এখানে যা ঘটে, তা গোটা রাজ্যে প্রভাব ফেলে। তাই তৃণমূলের অন্দরকলহ আর বিজেপির হুঁশিয়ারি—এই দুই মিলে পূর্ব মেদিনীপুরের মাটি ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভোটের মুখে।