কালী মূর্তির পাশে মোদীর ছবি, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ কুনালের

শমীক ভট্টাচার্যের রাজ্য সভাপতি পদে অভিষেক অনুষ্ঠানে জন্ম হয়েছে আরও এক বিতর্কের (Kunal)। মঞ্চের পিছনে মা কালীর একটি ছবির পাশে প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি…

Kunal slams BJP

শমীক ভট্টাচার্যের রাজ্য সভাপতি পদে অভিষেক অনুষ্ঠানে জন্ম হয়েছে আরও এক বিতর্কের (Kunal)। মঞ্চের পিছনে মা কালীর একটি ছবির পাশে প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। এবার সেই রাজনৈতিক বিতর্কে ঘৃতাহুতি দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ (Kunal)। তিনি বলেছেন “মা কালীর ছবির পাশে নরেন্দ্র মোদীর ছবি রাখবার কথা বিজেপি ভাবল কি করে। যে বিজেপি সবসময় হিন্দু ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে আজ তারাই হিন্দু দেবী কালীকে অবমাননা করেছেন। বিজেপির বোঝা উচিত নরেন্দ্র মোদী ভগবান নন।”

   

কুনাল ঘোষ (Kunal) তাঁর এক্স পোস্টে এই ঘটনাকে ‘ধর্মের প্রতি অপমান’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, “একজন ব্যক্তিকে মহিমান্বিত করার অন্ধ আবেগে বিজেপি এমন একটি অকল্পনীয় কাজ করেছে—বিজেপির অনুষ্ঠানের মঞ্চে মা কালীর পাশে নরেন্দ্র মোদীর ছবি স্থাপন করেছে। এটি কেবল চাটুকারিতা নয়, এটি ধর্মের প্রতি অবমাননা।

মোদীজি (Kunal) একটি ধর্মনিরপেক্ষ, সাংবিধানিক গণতন্ত্রের নির্বাচিত প্রধান, কোনো দেবতা নন, যাঁকে পূজা করা হবে। একজন মানুষকে দেবতার স্তরে উন্নীত করে বিজেপি আমাদের বিশ্বাসের সঙ্গে তামাশা করেছে এবং আমাদের ঐতিহ্যকে অপমান করেছে। তারা ‘হিন্দু অস্মিতা’র কথা চিৎকার করে, কিন্তু আমাদের দেবতাদের প্রচারের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে।”

এই ঘটনা (Kunal) পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের সূচনা করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনাকে বিজেপির হিন্দু ধর্ম নিয়ে রাজনৈতিক সুবিধাবাদিতার প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরছে। কুনাল ঘোষের মন্তব্যে বিজেপির ধর্মীয় ইমেজের উপর প্রশ্ন উঠেছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের হিন্দুত্ববাদী দল হিসেবে প্রচার করে আসছে।

তৃণমূলের অভিযোগ, (Kunal) বিজেপি ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে, যা হিন্দু ধর্মের প্রতি অপমানজনক।বিজেপির তরফে এই অভিযোগের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। তবে, দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, মঞ্চে মা কালীর ছবির পাশে মোদীর ছবি স্থাপন করা কোনো অপমানের উদ্দেশ্যে নয়, বরং এটি দলের নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের একটি প্রচেষ্টা ছিল।

তারা আরও বলেন, এই ধরনের ঘটনাকে বিতর্কে পরিণত করা তৃণমূলের রাজনৈতিক কৌশল।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ধর্মীয় সংবেদনশীলতার বিষয়টিকে আরও উত্তপ্ত করতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে, যেখানে ধর্মীয় অনুভূতি এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ভোটারদের মধ্যে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

Advertisements

বিশেষ করে, ২০২৬ সালের বিধানসভা (Kunal) নির্বাচনের আগে এই বিতর্ক তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে আরও তীব্র করতে পারে।তৃণমূলের একাংশ মনে করে, বিজেপির এই পদক্ষেপ তাদের হিন্দু ভোটব্যাঙ্কের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। এক তৃণমূল নেতা বলেন, “বিজেপি সবসময় হিন্দু ধর্মের পক্ষে কথা বলে, কিন্তু এই ঘটনা প্রমাণ করে যে তারা ধর্মকে কেবল রাজনৈতিক সুবিধার জন্য ব্যবহার করে।”

অন্যদিকে, (Kunal) বিজেপির সমর্থকরা এই অভিযোগকে রাজনৈতিক প্রচার হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা বলছেন, মোদীর ছবি মঞ্চে রাখা কোনো ধর্মীয় অপমানের উদ্দেশ্যে নয়।এই বিতর্ক শুধু রাজনৈতিক মঞ্চেই সীমাবদ্ধ নেই, সামাজিক মাধ্যমেও এটি তীব্র আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। এক্স প্ল্যাটফর্মে অনেকে কুনাল ঘোষের মন্তব্যের সমর্থনে সরব হয়েছেন, আবার কেউ কেউ এটিকে তৃণমূলের রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখছেন।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “বিজেপির এই কাজ ধর্মের প্রতি অশ্রদ্ধা। মা কালীর মতো দেবীকে রাজনৈতিক প্রচারের জন্য ব্যবহার করা অগ্রহণযোগ্য।” অন্যদিকে, বিজেপি সমর্থকরা বলছেন, “এটি কেবল তৃণমূলের প্রচার, যারা বিজেপির উত্থান রোধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।”

ভারত এবার সমুদ্রে ল্যান্ডমাইন পুঁতে রাখবে, শত্রুর প্রতিটি পদক্ষেপই অকেজো হবে

এই ঘটনা (Kunal) পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ধর্মীয় সংবেদনশীলতার বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে এই বিতর্ক আগামী দিনে আরও তীব্র হতে পারে। বিশেষ করে, বিজেপির হিন্দুত্ববাদী ইমেজ এবং তৃণমূলের ধর্মনিরপেক্ষতার দাবি এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে নতুনভাবে পরীক্ষিত হবে। এই বিতর্ক কীভাবে রাজনৈতিক মঞ্চে প্রভাব ফেলে এবং ভোটারদের মনোভাবকে কীভাবে প্রভাবিত করে, তা আগামী দিনে রাজ্যের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।