কখনো কিল ঘুসি চড়, আবার কখনো ধমকানি চমকানি (Suvendu Adhikari)। পান থেকে চুন খসলেই এই মুহূর্তে শাসকের অস্ত্র এগুলোই। ঠিক এরকমই একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। প্রকাশ্যে এসেছে একটি ভিডিও যেখানে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের হেতেডোবা এলাকায় বনদপ্তরের একটি বনসৃজন কর্মসূচিতে দুর্গাপুরের ডিএফও; শ্রী অনুপম খাঁ কে অন্যান্য আধিকারিকদের সামনেই অপমান করার সাথে সাথেই হুমকি-শাসানি দিলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী।
এই ঘটনা সামনে এনেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন তৃণমূলের নেতা বিধায়ক মন্ত্রীরা মনে করেন যে সরকারি আধিকারিকদের কোনো মান সম্মান বোধ নেই। তাদেরকে যত্রতত্র সর্বসমক্ষে তিরস্কার করা, তাদের সাথে প্রকাশ্যে অপমানজনক আচরণ করা যেন তৃণমূলীদের জন্মগত অধিকার।
সরকারি আধিকারিকের অপরাধ কি ? না এই বনসৃজন কর্মসূচির কথা আগে ভাগে কেন বিধায়ককে জানানো হয়নি তাদের তরফ থেকে। শেষ মুহূর্তের নিমন্ত্রনে সভায় এসেই তাই তিনি রীতিমতো হুমকি দিতে শুরু করেন ওই সরকারি আধিকারিককে।
দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো যে গোটা ঘটনাটার সময় দুর্গাপুরের এসডিএম সহ রাজ্য প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিক এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু কেউই বিধায়ক নরেনবাবুর বনবিভাগের একজন কর্তার প্রতি এমন অপমানজনক আচরণের প্রতিবাদ করেন নি ।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন “তৃণমুলের বিধায়ক হলেই কি একজন সরকারি আধিকারিককে এইভাবে অপমান করা যায়? সকলের সামনে অপদস্থ করা যায়?” তিনি আরও বলেছেন “আসলে এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা সরকারি কর্মচারিদের নিজেদের ব্যক্তিগত চাকর-বাকর ভাবেন, তাই দায়িত্ব পালন ঠিকঠাক ভাবে করলেও, শুধুমাত্র আনুগত্যে অভাব দেখা দিলে এদেরকে ইচ্ছাকৃত ভাবে অপমান করা যায়।”
এই ঘটনায় সরব হয়েছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তারা বিরোধী দলনেতার এই পোস্টকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন শুভেন্দু এই ধরণের ঘটনা তুলে ধরে বাংলার মানুষের চোখ খুলে দিচ্ছেন। একজন সরকারি আধিকারিককে এই ভাবে হুমকি দেয়ার যোগ্যতা কি আছে বিধায়কের তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হুগলির খানাকুল
তৃণমূল বিধায়ক শেষে আধিকারিককে ধমকে বলেন আমাকে ভোটে হারাবার পরিকল্পনা করছেন তা বাস্তবায়িত হবে না। আমায় কেউ ভোটে হারাতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন নরেন চক্রবর্তী। তবে বিভিন্ন মহল থেকে ভেসে আসছে নিন্দার ঝড় এবং সমোলোচকরা বলছেন হার জিত সময়ের ব্যাপার এবং তা স্পষ্ট হবে বিধানসভা নির্বাচনের ফলের পরে।