রাজ্যে লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকারের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন মন্ত্রী শোভনদেবের, বিব্রত মমতা

চাকরি কোথায় হবে? এমন প্রশ্ন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। এতে বিব্রত মমতা সরকার। বিরোধী শিবির থেকে শুরু হয়েছে কটাক্ষ। খোদ মন্ত্রী দুরাবস্থা স্বীকার করেছেন।…

চাকরি কোথায় হবে? এমন প্রশ্ন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। এতে বিব্রত মমতা সরকার। বিরোধী শিবির থেকে শুরু হয়েছে কটাক্ষ। খোদ মন্ত্রী দুরাবস্থা স্বীকার করেছেন।

কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ১২ লক্ষ পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক দিয়েছে। পাশ করেছে ৮৬ শতাংশ। সব শিক্ষিত বেকার তৈরি হয়ে গেল। গ্র্যাজুয়েশন, এমএ পাশ করে চাকরি নেই। যারা বাড়িতে আছেন তাদের অর্ধেকেই চাকরি চাইতে আসেন। কোন জায়গায় গেলে কী পাশ করলে চাকরি পাওয়া যাবে? প্রশ্ন তুলেছেন শোভনদেব।

কৃষি মন্ত্রী বলেন, এত বেকার তৈরি হচ্ছে প্রতিদিন। সঠিক দিক নির্দেশ করার কেউ নেই। প্রতিদিন সকাল বেলা যখন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করি তখন ১০ টা লোক এলে ৫ জন চাকরির জন্য আসেন। তাদের মধ্যে কেউ গ্র্যাজুয়েশন পাশ। কেউ এমএ পাশ করেছেন।

মন্ত্রীর মন্তব্যে কটাক্ষ করেছে বিরোধী দল বিজেপি। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, ৮৬ শতাংশ হোক, ৬ শতাংশ হোক। সেখানে চাকরি কোথায় দেবে? শিল্প কোথায়? আসলে রাজ্য দেউলিয়া হয়ে গেছে। সেটা অন্যান্য নেতাদের থেকে শোভনদেব বাবু বুঝতে পেরেছেন। তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, শোভনদেবক কথাটা ভুল বলেননি। কিন্তু কেন এই অবস্থা তৈরি হচ্ছে সেটা তো খতিয়ে দেখতে হবে। সংখ্যাপত্রে ভুল রয়েছে। সারা দেশজুড়ে কাজের বাজার খুব খারাপ। নিয়োগ না করে খেলা,মেলা করে বেড়াচ্ছে।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য আক্ষেপের কথা। তাঁর নিজের দলের লোকেরাই আক্ষেপের কথা বলছে। তার মানে আমরা যেটা বলছি সেটা সত্য। রাজ্যে রুটি রুজি নেই। শিক্ষিত যুবকদের কাজের ব্যবস্থা নেই। কিন্তু নামটা করতে ভয় পাচ্ছি কারণ শোভনদেব বাবুর কাল চাকরি চলে যেতে পারে।