নয়াদিল্লি, ২১ সেপ্টেম্বর: কলকাতার গুলশন কলোনিতে গত ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া গুলি-বোমা হামলার ঘটনায় মূল (Delhi Police)অভিযুক্ত ফিরোজ খান ওরফে ‘মিনি ফিরোজ’-কে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় নিউ দিল্লি রেল স্টেশনের কাছে আজমের গেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় ফিরোজ খানের নাম স্থানীয় দাপুটে ও কুখ্যাত অপরাধী হিসেবে উঠে এসেছে। যিনি গুলশান কলোনি এলাকায় ‘মিনি ফিরোজ’ নামে পরিচিত।
ভর সন্ধ্যেবেলায় গুলি, বোমার আওয়াজে কেঁপে ওঠে আনন্দপুর থানার অন্তর্গত কসবার গুলশান কলোনি। রাত ২ ট নাগাদ দুষ্কৃতিরা ফিরে এসে ফের একপ্রস্থ চালায়, বোমা বিস্ফোরণে খান খান হয় রাতের নিস্তব্ধতা। বৃহস্পতিবার গুলশান কলোনির অটো স্ট্যান্ডের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে, বাইকে চড়ে একদল দুষ্কৃতি এসে পরপর গুলি চালাতে থাকে, ছোঁড়া হয় বোমা।
ভয়ে দোকানপাট বন্ধের তোড়জোড় শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র এলাকায়। সন্ধ্যায় বেশ কিছুক্ষণ তাণ্ডব করে চলে যায় তাঁরা। ফের মাঝরাতে কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতিরা, বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মিনি ফিরোজ এখন পুলিশের জালে।
দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের এই অভিযান রাজধানীতে অপরাধ দমনে একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।তদন্তে ফিরোজ খানের নাম প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে সামনে আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ তার দলবল নিয়ে এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল এবং সরাসরি তাতে অংশ নিয়েছিল।
দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফিরোজের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল। রবিবার সন্ধ্যায় আজমের গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল এবং কয়েকটি জীবন্ত গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ফিরোজের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, যার মধ্যে হত্যা চেষ্টা, ডাকাতি এবং অস্ত্র আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত। সে গুলশন কলোনি এবং আশপাশের এলাকায় অপরাধ জগতে ‘মিনি ফিরোজ’ নামে কুখ্যাত।
একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানান, “ফিরোজ গুলশন কলোনির হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। তার গ্রেফতারিতে এই ঘটনার অন্যান্য অভিযুক্তদের ধরার পথ সুগম হবে।” তিনি আরও বলেন, “এই হামলা ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাং-এর বিরুদ্ধে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা। আমরা এই ধরনের অপরাধ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি।” তদন্তে জানা গেছে, ফিরোজ তার দলের সঙ্গে মিলে এলাকায় ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করছিল, যাতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করা যায়।
কবে থেকে প্রি-সিজন শুরু করছে কেরালা ব্লাস্টার্স?
গুলশন কলোনির বাসিন্দারা এই গ্রেফতারে স্বস্তি প্রকাশ করলেও এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এই ধরনের হামলা আমাদের জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে। পুলিশের উচিত এই গ্যাংগুলোর মূলোৎপাটন করা।” সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশংসা দেখা গেছে। এক্স-এ একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “দিল্লি পুলিশকে ধন্যবাদ।

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
