Anis Khan Murder: ‘খুন’ হওয়া আনিস খানের বাড়ির সামনে মীনাক্ষীর বাইক মিছিল

ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anis Khan) মৃত্যুর বিচার চেয়ে ফের পথে নামল বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। মঙ্গলবার আনিস খানের বাড়ির সামনে থেকেই শুরু হয় বাইকিং মিছিল।…

Meenakshi Mukherjee's bike procession in front of Anis Khan's house

short-samachar

ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anis Khan) মৃত্যুর বিচার চেয়ে ফের পথে নামল বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। মঙ্গলবার আনিস খানের বাড়ির সামনে থেকেই শুরু হয় বাইকিং মিছিল। নেতৃত্বে ছিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক ও সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি। বাম সংগঠনটির মিছিলের উদ্বোধন করেন আনিস খানের বাবা সালেম খান।

   

বাম ছাত্র যুব নেতৃত্বের দাবি, আনিস খানের হত্যা রহস্যের এখনও অবধি কোনও কিনারা হয়নি। সিটের তরফে দাবি করা হচ্ছে এটা আত্মহত্যা। কিন্তু সেই দাবি মানতে নারাজ মৃত আনিসের পরিবার ও বাম ছাত্র-যুব সংগঠন। তাঁদের দাবি এখনও বেশ কিছু বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।

আনিস খানের বাবা সালেম খানের দাবি হত্যার পিছনে পুলিশ রয়েছে তাই তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হোক। সেই দাবিকেই সামনে রেখে আনিস খানের বাড়ির সামনে থেকে শুরু হয় মিছিল।

Meenakshi Mukherjee's bike procession in front of Anis Khan's house

মঙ্গলবার হাওড়ার আমতার সারদার দক্ষিণ খাঁ পাড়া থেকে শুরু হওয়া মিছিলে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় মানুষ। হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মিছিল বৃহস্পতিবার উপস্থিত হবে রানি রাসমনি অ্যাভিনিউয়ে। সেখানেই সমাবেশের ডাক দিয়েছে ডিওয়াইএফআই।

বাম যুব সংগঠনটির সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন আনিস খানের বাবা। ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জির হুঁশিয়ারি, আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারের দাবিতে শনিবার থেকে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামবে বাম ছাত্র-যুব সংগঠন।

এখনও অবধি আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং একজন হোমগার্ডকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বারবার সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হলেও এখনও আনিস খানের হত্যায় নিয়োজিত রয়েছে সিট।

গত মাসের ১৯ তারিখ আনিস খানের হত্যার ঘটনায় রিপোর্ট জমা পড়ে কলকাতা হাইকোর্টে। প্রায় ৮২ পাতার রিপোর্ট মুখবন্ধ একটি খামে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের তরফে জমা দেওয়া হয়। আনিসকাণ্ডে রাজ্যের রিপোর্টে খামতির অভিযোগ তুললেন মামলাকারী আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ আত্মহত্যা বলে চেষ্টা করছে রাজ্য।

আদালতের কাছে তিনি জানিয়েছেন, অপরাধীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে না। অন্য সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের আর্জি জানাচ্ছেন তাঁরা। হাইকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, কী কী খামতি রয়েছে তা এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে। পরবর্তী শুনানি ১২ মে।