HomeWest Bengalভাঙন প্রতিরোধের অভাবে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় গ্রামবাসীদের

ভাঙন প্রতিরোধের অভাবে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় গ্রামবাসীদের

- Advertisement -

মানালী দত্ত, রহরমপুর: গঙ্গার ভয়াবহ ভাঙনে (Ganges erosion) সর্বস্ব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে ঠাঁই হয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহু গ্রামের হাজার হাজার মানুষের। সামসেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত ধানঘরা, শিকদারপুর, লোহারপুর, মহেশতোলা-সহ বেশ কিছু গ্রামে নদীর পাড় ভেঙে জমি, ঘরবাড়ি, এমনকি রাস্তা, মন্দির, মসজিদ, স্কুল সবই গঙ্গার জলে বিলীন হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রতিনিয়ত এসব অঞ্চলে নদী ভাঙন চলছে, আর প্রতি বছরই এর শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভাঙনের কবলে পড়া এই মানুষদের জন্য এখনও পর্যন্ত স্থায়ী কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি, ফলে প্রতিটি বর্ষাতেই বাড়ছে তাদের দুর্দশা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই বিপুল ক্ষতির কোনো প্রতিকার হচ্ছে না এবং প্রশাসনের তরফ থেকে শুধুমাত্র সাময়িক সাহায্য মেলে। তাঁদের দাবি, সরকার ও প্রশাসন কেবল দানার প্রভাবের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে তৎপরতা দেখালেও, ভাঙনের ক্ষেত্রে এই সুরক্ষা প্রয়োজন এমন তৎপরতা কখনো দেখা যায় না। বর্ষাকাল এলেই প্রতিবার তাদের ঘরবাড়ি, জমি সবকিছু নদীর গ্রাসে চলে যায়। ১৫০টির বেশি বাড়ি ইতিমধ্যেই গঙ্গায় বিলীন হয়েছে, আর প্রতিনিয়ত ভাঙনের আওতায় চলে যাচ্ছে একের পর এক জনপদ।

   

স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রয়োজন
গত কয়েক বছরে সামসেরগঞ্জ অঞ্চলে ভাঙনের মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে, আর বিশেষ করে দানার প্রভাবে সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। জলের তীব্র স্রোত আর জমির আলগা হওয়ায় ভাঙন বাড়ছে। গ্রামবাসীরা বলেন, “প্রতিবার বর্ষায় আমরা এই দৃশ্য দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। প্রতিবছরই প্রশাসনের কাছে আর্জি জানাই, কিন্তু কেবলই সাময়িক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” কিছু বছর আগে বাঁধের পাশে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন আটকানোর চেষ্টা করা হলেও তাতে স্থায়ী সুরাহা হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, রাতের পর রাত তাঁরা প্রহরী হয়ে বসে থাকেন—কোনো মুহূর্তে হয়তো আবার তাদের বাড়িঘর গঙ্গার গ্রাসে চলে যাবে। ইতিমধ্যেই এই এলাকায় প্রায় ২০০ মিটার জমি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular