সারা ভারতে তাপপ্রবাহের জন্য যত মৃত্যু ঘটেছে তার সংখ্যা এই বছর সর্বাধিক! এমনই চমকে দেওয়া রিপোর্ট সামনে আসতেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে জানা গিয়েছে দেশে এখনও পর্যন্ত তাপপ্রবাহের বলি হয়েছেন ১৬৫। এই পরিসংখ্যান শুধু মাত্র এই বছরের, মনে করা হচ্ছে তাপপ্রবাহের জন্য মৃত্যু এই বছরে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। এই সংখ্যাটা বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় এই পরিসংখ্যান সর্বকালীন রেকর্ডও সৃষ্টি করতে পারে। এই রাজ্যে তাপপ্রবাহের দাপট শেষ হলেও বাংলার পড়শি রাজ্যে চলছে তাপপ্রবাহের ঝড়ো ব্যাটিং।
ওড়িশায় গত ৭২ ঘণ্টায় ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে বারাঙ্গিরে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। যদিও এখনও পর্যন্ত ওডিশা সরকার হিটস্ট্রোকে ১৫ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আরও জানা গিয়েছে সম্বলপুর জেলায় ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে গত ৪৮ ঘণ্টায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বালাঙ্গিরে, যা সবচেয়ে বেশি। বাকি ৩০টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম ওড়িশার বিভিন্ন প্রান্তে। শনিবার ছত্তিশগড়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চাম্পা জেলায়। মহারাষ্ট্রের ভান্ডারা জেলায় গত ২৮ মে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ জানাচ্ছে, এবছর এ পর্যন্ত রাজ্যে ২৮১টি হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটেছে। এদের নাসিকের ২৯ জন। এরপর জালনার ২৮ এবং বুলধানার ২৩ জন। পুনেতে এ পর্যন্ত ৮টি হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটেছে। মুম্বইয়ে তিনটি এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, গরমে দিল্লিতেও বিপজ্জনক অবস্থা। সেখানে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে রুমেলের জন্য বাংলায় এখনও ঢুকতে পারেনি বর্ষা। হাওয়া অফিসের সূত্রে জানা গিয়েছে বর্ষা না এলেও রবিবার থেকে ভিজবে বাংলা। উত্তরে বাড়বে বৃষ্টি। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে উপরের জেলাগুলিতে। দক্ষিণের জেলাগুলিতেও তাণ্ডব চালাবে কালবৈশাখী। দোসর হবে বৃষ্টি। আজ অর্থাৎ রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকলে আগামী কয়েকদিনে অনেকটাই নামবে তাপমাত্রার পারদ।