‘বাঁধের টাকা খেয়েছে তৃণমূল নেতারা’, অমাবস্যায় ফের উপকূল ভাঙার আতঙ্ক

পূর্ণিমার কোটালে বঙ্গোপসাগরের জলোচ্ছাসে উপকূল এলাকার বিস্তির্ণ অঞ্চল জলমগ্ন। কূল ছাপিয়ে বঙ্গোপসাগরের নোনা জল ঢুকছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর সংলগ্ন গ্রামাঞ্চলে। এলাকাবাসীর…

Kakdwip

পূর্ণিমার কোটালে বঙ্গোপসাগরের জলোচ্ছাসে উপকূল এলাকার বিস্তির্ণ অঞ্চল জলমগ্ন। কূল ছাপিয়ে বঙ্গোপসাগরের নোনা জল ঢুকছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর সংলগ্ন গ্রামাঞ্চলে। এলাকাবাসীর ক্ষোভ, বাঁধ এত দূর্বল যে কোনওভাবেই বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব না। অভিযোগ, বাঁধের টাকা চলে গেছে তৃণমূল (TMC) নেতাদের পেটে!

বঙ্গোপসাগর উপকূল এলাকায় জলোচ্ছাসে বাঁধ ভেঙে যাওয়া নতুন কিছু নয়। তবে উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, আগের বাম সরকারের আমলে বাঁধ রক্ষায় কিছু কাজ হতো, এখন কিছুই হয়না।

   

শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে যান মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, যখন কাজ করার দরকার ছিল, তখন তো কাজ করেননি৷ এখন কেন এসেছেন? মন্ত্রীর উপর ক্ষোভ বলে দিচ্ছে পরিস্থিতি কেমন।

নিম্নচাপ ও ভরা কোটালের জোড়া হামলায় বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সুন্দরবনের বিভিন্ন গ্রাম নোনা জলে বন্দি। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। ভরা কোটালে বাড়ছে সমুদ্র ও নদীর জলস্তর। বাঁধ ভেঙে একাধিক গ্রামে হু হু করে ঢুকছে জল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা। কাকদ্বীপ মহকুমার সাগর ব্লকের গঙ্গাসাগরের উপকুলে বাঁধ ভেঙে ভয়ঙ্কর অবস্থা।

ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সাগর, নামখানা, রায়দিঘি এলাকায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে শুরু করেছিল। এখন নোনা জলে ভরে গেছে গোটা এলাকা। বঙ্কিমনগর এক নম্বর কলোনির কাছে প্রায় ২০০ মিটার নদী বাঁধ তলিয়ে গিয়েছে নদীগর্ভে। নষ্ট হচ্ছে চাষের জমি, পুকুর।

এলাকাবাসী আতঙ্কিক। কারণ, আসন্ন অমাবস্যায় রয়েছে দুর্যোগের আশঙ্কা। এই দুই সপ্তাহের মধ্যে বাঁধ মেরামত না করতে পারলে নতুন করে বাড়তে পারে বিপদ। অভিযোগ, কেউ কিছু করছে না। কাটমানির খেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত।