মেহনতি মানুষের প্রতিনিধি! রিকশা চালিয়েই বিধানসভার উদ্দেশে মনোরঞ্জন

কলকাতা: তিনি বরাবরই ব্যতিক্রমী৷ বরাবর স্পষ্ট কথ বলতেই পছন্দ করেন৷ মঙ্গলবার সকালে রিক্সা চালিয়ে বিধানসভার উদ্দেশে রওনা দিলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক তথা দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির…

কলকাতা: তিনি বরাবরই ব্যতিক্রমী৷ বরাবর স্পষ্ট কথ বলতেই পছন্দ করেন৷ মঙ্গলবার সকালে রিক্সা চালিয়ে বিধানসভার উদ্দেশে রওনা দিলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক তথা দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মনোরঞ্জন ব্যাপারি৷ সকালে ৯টা নাগাদ কিড স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেল থেকে যাত্রা শুরু হয় তাঁর। যদিও বিধানসভা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি তিনি৷ আইনের জায়ে বাধা পড়েন। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? মনোরঞ্জনের অকপট জবাব, খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতেই তাঁর এই পদক্ষেপ৷ 

২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে হুগলির বলাগড় কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা৷ সেই সময় তাঁর বিধানসভা এলাকা থেকে স্লোগান উঠেছিল—‘রিকশা যাবে বিধানসভায়’। খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি হিসাবে তাঁকে বিধানসভায় দেখতে চেয়েছিলেন বলাগড়ের মানুষ ৷ এদিন এক্স হ্যান্ডেলে বিধায়ক লেখেন, ‘‘এক রিকশাচালক সম্মানীয় বিধানসভার সদস্য হিসেবে বিধানসভায় এসেছেন। কিন্তু সরাসরি রিকশা বিধানসভায় আসেনি। আসতে পারেনি। কারণ, কলকাতা শহরে প্যাডেল রিকশা চলে না।’

   

কলকাতার রাস্তায় এখন আর হাতে টানা রিকশা ছাড়া কোনও রিকশা চলে না৷ ফলে সাইকেল রিকশা চালিয়ে বিধানসভায় যাওয়ার জন্য প্রশাসনের অনুমতি নিতে হত তাঁকে। প্রাথমিকভাবে সমস্ত অনুমতি জোগারও করে নেন তিনি। কিন্তু এদিন এমএলএ হস্টেল থেকে রিকশা নিয়ে বিধানসভার অভিমুখে তিনি যাত্রা করতেই, পথ আটকায় কলকাতা পুলিশ৷ ফলে কিডস্ট্রিটেই থাকে মনোরঞ্জনের রিকশার প্যাডেল। পুলিশের বাধা দিলেও তিনি দমে যেতে নারাজ। বিধায়ক সাফ জানান, আজ তাঁকে আটকাো হলেও, প্রয়োজনীয় সমস্ত অনুমতি সংগ্রহ করে তিনি রিকশা নিয়ে বিধানসভায় যাবেনই৷ 

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মনোরঞ্জন বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস খেটে খাওয়া মানুষের দল৷  খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি হিসেবেই একজন রিকশাচালককে বিধায়ক হিসেবে বিধানসভায় স্থান করে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ রিকশা নিয়ে বিধানসভায় আসার প্রচেষ্টার পাশাপাশি শ্রমজীবী মানুষকে এই বার্তা দিতে চাই যে, আপনারাও তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে থাকুন৷’’