স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে সঙ্গমে বাধ্য করলেন স্বামী! আজব কাণ্ডে বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্ট

বংশরক্ষার জন্য স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে বাধ্য করল স্বামী! আজব এই কাণ্ডে বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু বিস্ময় প্রকাশই নয়, পুলিশ কেন অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও…

bengal govt moves to high court on rg kar case

বংশরক্ষার জন্য স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে বাধ্য করল স্বামী! আজব এই কাণ্ডে বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু বিস্ময় প্রকাশই নয়, পুলিশ কেন অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও জানতে চেয়েছেন ওই ব্যক্তিকে পুলিশ কেন হেফাজতে নেয়নি।

অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা মহিলা থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত৷ তাঁর স্বামীও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ৷ তাঁদের দাম্পত্য জীবন প্রায় চব্বিশ বছরের ৷ তাঁদের দু’টি কন্যা সন্তানও হয় ৷ কিন্তু তারাও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়৷ একজন ১৭ বছর বয়সে ও আর একজন ৫ বছর বয়সে মারা যায় ৷ মহিলার অভিযোগ, এরপর ২০১৯ সাল থেকে তাঁর স্বামী তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করেন ৷ বংশরক্ষায় স্বামী ফের সন্তান পেতে স্ত্রীকে এক যুবকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন ৷ আপত্তির পরেও বেশ কিছুদিন ওই যুবকের অত্যাচার সহ্য করতে হয় মহিলাকে । তারপরেই তিনি থানায় অভিযোগ করেন । চলতি বছরের ১ এপ্রিল ফের ওই যুবক তাঁর ঘরে ঢোকার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন । তাঁকে মারধর করে ওই যুবক । তিনি বারুইপুর থানায় গিয়ে মৌখিকভাবে ধর্ষণের অভিযোগ করেন । কিন্তু পুলিশ এফআইআর করেনি বলে অভিযোগ ।

   

এখানেই শেষ নয়, ওই মহিলা আরও অভিযোগ করেন যে পুলিশে অভিযোগ করার পরে ওই যুবক তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। সঙ্গে সঙ্গে থানায় অভিযোগ জানানোর পরও পুলিশ অভিযুক্তকে ছেড়ে দেয় । অবশেষে সুরাহা পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি ৷ এ দিন শুনানিতে রাজ্য জানায়, সেদিন লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় পুলিশ এফআইআর করেনি।

বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগ পেতে হবে কেন ? তিনি মুখে বলেছেন সেটা জিডি করেছেন । কিন্তু এফআইআর পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন ! পুলিশ একটা পক্ষ নিয়েছে । ধর্ষণের অভিযুক্তকে কি করে থানা থেকে ছেড়ে দেয় ? আপনারা কোনও নিরাপত্তা দেননি মহিলাকে । আপনারা অভিযুক্তকে নিরাপদে সরে পড়ার সুযোগ দিয়েছেন । মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ ? কেনও তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি ?’’ সাক্ষীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট চেয়েছেন বিচারপতি সিনহা।