কলকাতা: ২০২৬ বিধানসভা (WB assembly Election) ভোটকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। আসন্ন নির্বাচনকে পাখির চোখ করে কোমর বাঁধছে শাসক-বিরোধী। দলের গায়ে দুর্নীতি-অভিযোগের দাগ থাকা সত্ত্বেও ২০২১-এর ভোটে ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন মমতা (Mamata Banerjee)।
পদ্মকাঁটাকে উপড়ে ফেলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিনিয়ে নেয় ঘাসফুল শিবির। এই নির্বাচনে বাংলায় পদ্ম ফোটাতে মরিয়া বিজেপি (BJP) জোরকদমে ময়দানে নেমে পড়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যে বেড়ে চলা ধর্ষণ, বেকারত্ব, সরকারি কর্মীদের দূরবস্থা সহ একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে আশায় বুক বাঁধছে বাম-কংগ্রেস। সেইসঙ্গে পদ্ম-শিবিরের বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় রাজনীতি’-নিয়ে সুর চড়ানো অব্যাহত।
https://x.com/KunalGhoshAgain/status/1980143575792054619
এই আবহে দীপাবলির সকালে বিজেপি সহ বাম-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ হেনে এক ‘বিস্ফোরক’ দাবী করলেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বিজেপিকে “জনভিত্তিহীন নাটকবাজ” এবং বাম-কংগ্রেসকে “ঈর্ষাকাতর, অবসাদগ্রস্ত, হতাশ কুৎসাকারী” বলে ইঙ্গিত দিয়ে কুণাল এক ‘নাগরিক হিসেবে’ এক ঘোষণা দেন।
এক্সের পোস্টে তিনি দাবী করেন, “জ্যোতি বসুর মুখ্যমন্ত্রিত্বের রেকর্ড ভেঙে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০৩৬ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী তিনিই। ওই সময়টার আগেপরে থেকে তাঁর আশীর্বাদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্ব শুরু।”
শুধু তাই নয়, ২০২৯-এর মধ্যে “যদি মমতাদি প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে আলাদা কথা”, বলে উল্লেখ করেন কুণাল। বিরোধীরা যতই শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনুক না কেন, তা কেবল সমাজমাধ্যমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, বলে দাবী কুণালের। তিনি আরও লেখেন, “বিরোধীরা মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়াতেই থাকুন। তৃণমূল নবান্নে সুন্দর, বিরোধীরা ফেসবুকে।”