কয়েকদিন আগেই ঘোষণা (DA Hike) করা হয়েছিল। সেই নির্দেশ দ্রুত কার্যকরও হল। মে মাসের বদলে এপ্রিল থেকেই বর্ধিত হারে ডিএ (DA Hike) পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। সূত্রের খবর, জুন মাসের বেতনের আগেই এই টাকা কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৃথক ভাবে পাঠানো হচ্ছে। গত বুধবার থেকেই এই টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
চলতি বছর রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডিএ ঘোষণা করা হয়েছিল। ১ মার্চ সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে নবান্ন। অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ঘোষণা করেন, চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আগামী মে থেকেই বর্ধিত হাতে বেতন পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। ১১ জুন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মে নয়, এপ্রিল থেকে বর্ধিতা হারে ডিএ দেওয়া হবে।
ডিএর দাবিতে অনেক দিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বিষয়টি আদালতেও গড়ায়। অবশেষে ২০২৩-এর ডিসেম্বরে ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য বাজেটেও তা উল্লেখ করা হয়। এই ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীরা বর্তমানে মোট মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন ১৪ শতাংশ।
শিয়রে বড় ঝাঁকুনি! জরুরি বৈঠকের ডাক মমতার
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএর ফারাক অনেকটাই বেশি। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষেত্রে ডিএ বাধ্যতামূলক। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে তা ঐচ্ছিক। রাজ্য সরকার চাইলে ডিএ দিতে পারে, না দিলেও আইনি কোনও সমস্যা হবে না বলে দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ফলে সরকারের ২,৪০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। বর্ধিত ডিএ-এর ফলে উপকৃত হচ্ছেন রাজ্যের ১৪ লক্ষ সরকারি কর্মী। এদিকে এপ্রিল থেকে বর্ধিত ডিএ কার্যকর হওয়ার রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে খুশির হাওয়া। তৃণমূল সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন এপ্রিল থেকে নবান্নের এই ডিএ বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তিকে স্বাগত জানিয়েছে।
ভোটে খরচের জন্য দলের পাঠানো টাকা হাতিয়ে নিলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা!
সরকারি কর্মচারী, সরকার অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, স্বশাসিত সংস্থা, সরকার অধীনস্থ পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত কর্মী, পুরনিগম, পুরসভা, স্থানীয় বোর্ড এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের পেনশন প্রাপকেরা এই সুবিধা পাবেন।