Mamata Banerjee: মেয়র পদে ভাই? বিরাট ক্ষমতার উপহার দিতে পারেন মমতা

মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ ও তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক। যদিও ভিন রাজ্যে তিনি পরপর নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করছেন। কিন্তু মমতা স্নেহে আচ্ছন্ন…

মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ ও তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক। যদিও ভিন রাজ্যে তিনি পরপর নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করছেন। কিন্তু মমতা স্নেহে আচ্ছন্ন তিনি। এবার সেই স্নেহছায়া বর্ষণ হতে চলেছে ভাই বাবুনের উপরে।

বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন ছিলেন ভবানীপুরের বাসিন্দা। হঠাৎ ভোটার কার্ড বদল করে হয়েছেন গঙ্গার ওপারে হাওড়ার বাসিন্দা। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন? রাজনৈতিক মহলে যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে।

আলোচনায় উঠে আসছে, হাওড়া পুরনিগম নির্বাচন এখনও বাকি রয়েছে৷ সেখানে পুরপ্রশাসক পদে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনা হলে চমকে যাওয়ার মতো কিছু হবে না। পরে হাওড়া পুরনিগমের মেয়র করা হবে। এমনই আলোচনা তুঙ্গে।

তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন কি আগামী লোকসভা ভোটে দলের টিকিট পাবেন, এই প্রশ্নও ঘুরছে। এর কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের ঠিকানা পরিবর্তন। এমনও মনে করা হচ্ছে তিনি হাওড়া থেকে লড়াই করবেন। ২৪ এর নির্বাচনে হাওড়া সদর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করতে পারেন বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেইমতো তোরজোড় শুরু করতেই এখন থেকে হাওড়ার নির্দিষ্ট বাসিন্দা হতে চান মুখ্যমন্ত্রীর ভাই।

গত লোকসভা ভোটে প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলের প্রার্থী করা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল৷ শেষ মুহুর্তে প্রসূণের ওপরের ভরসা রেখেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই ভাইয়ের কপালে টিকিট মেলেনি। সম্প্রতি দলবদল নিয়ে কড়া মন্তব্য করতে দেখা যায় প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যে মন্তব্যের সমর্থন তো দূরের কথা সাংসদের ব্যক্তিগত মন্তব্য উল্লেখ করেই বিষয়টি এড়িয়ে যায় জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এর পর থেকে প্রসূণের উপর খুব একটা সন্তুষ্ট নয় তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস।

বিধানসভা নির্বাচনে হাওড়া জেলায় বিরোধীদের শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু কান পাতলেই হাওড়ার তৃণমূল নেতাদের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে। সেই দ্বন্দ্ব মেটাতেই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংসদ প্রার্থী কিংবা মেয়র করার পরিকল্পনা রয়েছে ঘাসফুল শিবিরের৷