বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপনে ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী, একাধিক প্রকল্প উদ্বোধনের সম্ভাবনা

ঝাড়গ্রাম: বাংলা ভাষার অপমান এবং ভিনরাজ্যে বাঙালিদের উপর একের পর এক হেনস্থার ঘটনার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বুধবার ঝাড়গ্রামের রাস্তায় পদযাত্রা ও জনসভা…

Mamata Banerjee Birbhum Visit

ঝাড়গ্রাম: বাংলা ভাষার অপমান এবং ভিনরাজ্যে বাঙালিদের উপর একের পর এক হেনস্থার ঘটনার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বুধবার ঝাড়গ্রামের রাস্তায় পদযাত্রা ও জনসভা করেন। এই ঘটনার পর আজ, বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপনের রাজ্যস্তরীয় অনুষ্ঠানে। রাজ্যের আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এবং চলবে ৭ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত, মোট চারদিন ধরে।

আজ দুপুর ১টা নাগাদ ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, পর্যটন ও তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, বন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা প্রমুখ।

   

বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে জেলাভিত্তিক ও ব্লকভিত্তিক একাধিক অনুষ্ঠান এবং কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মূলত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি সরকারি পরিষেবাকে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই উদযাপন। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ধামসা-মাদল বিতরণ করবেন আদিবাসী সাংস্কৃতিক দলের হাতে। এছাড়াও, আদিবাসী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হস্তশিল্পী ও শিল্পীদের জন্য থাকবে প্রদর্শনী ও বিক্রয়ের স্টল।

এই উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভাও করবেন এবং ঝাড়গ্রাম জেলার একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন বলে জানা গিয়েছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা আদিবাসী সম্প্রদায়কে মূল স্রোতে নিয়ে আসতে সরকার যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে, তার বিস্তারিত ঘোষণাও আজকের মঞ্চ থেকেই করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisements

সরকারি আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপনে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে আদিবাসী সংস্কৃতির সংরক্ষণ, ভাষার মর্যাদা ও অধিকার রক্ষার উপর। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বারবার বলেছেন, “আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করা সরকারের অন্যতম দায়িত্ব।”

মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে গোটা ঝাড়গ্রামে উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে। জনসাধারণের মধ্যে এই অনুষ্ঠানের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ ও অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে এই অঞ্চলের উন্নয়ন এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক মহল।