মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বরাবর দেখা গিয়েছে বরাবর সাধারণের সঙ্গে মিশে যেতে। তার অন্যথা হল না চোপড়া পদযাত্রায়। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে প্রশাসনিক সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় চোপড়ায় রোড শো করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভার আগে ১ কিমি পদযাত্রা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে সাধারণ মনুষের সঙ্গে জনসংযোগ করেছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ির ভিডিওকনের মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে করে রায়গঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। চোপড়ায় থানার মাঠে তাঁর হেলিকপ্টার নামে। এরপর সেখান থেকে তিনি রোড শো করেন। চোপড়ায় রোড শো সেরে তিনি সড়কপথে ইসলামপুরে রওনা দেন।সেখানে রয়েছে ঠাসা কর্মসূচী।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ময়দানে নেমেছে সব রাজনৈতিক দল। বাংলায় ইন্ডিয়া জোট হচ্ছে না, আগেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রাকে বিভিন্নভাবে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কংগ্রেসের অভিযোগ রাজ্য সরকার পরিকল্পিতভাবে ভারতজোড়ো ন্যায় যাত্রা বানচাল করার চেষ্টা করছে।করতে দেওয়া হচ্ছে না সভা। বক্তব্য রাখার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
অধীর গড়েও রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। প্রথমে বহরমপুর স্টেডিয়ামে রাহুল গান্ধীর রাত্রি থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানেই একদিন আগে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভা। ফলের সেই মাঠ পাওয়া যাচ্ছে না এবার তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
অধীরবাবুর দাবি, জেলা প্রশাসন বলছেন হোল্ড করে রেখেছি। উপর মহলের পারমিশন লাগবে। উপরে জিজ্ঞাসা করতে হবে। এই উপরে জিজ্ঞাসা করার বিষয়টা পুরোটাই ধোঁয়াশা। সরকারি ভবন যেকেউ ব্যবহার করতে পারে। কোনো পার্টি বা ব্যক্তির নয়। তার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
অধীর চৌধুরী বলেন, রাহুল গান্ধীর পদযাত্রা সর্বভারতীয় ঘোষিত পদযাত্রা। কোনো লুকানো বিষয় নয়। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর রাহুলের পদযাত্রা হয়েছে। বাংলার মত পরিস্থিতি কোথাও হয়নি। বাংলা এমন একটা জায়গা যেখানে রাহুল গান্ধীর মত একজন নেতাকে খাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মনিপুর আসাম মানা যায়। বাংলায় এটা আমাদের কাছে কাম্য ছিল না। রাহুল গান্ধীর এই পদযাত্রা নিয়ে কোনো বিতর্ক প্রয়োজন ছিল না।