গরু পাচার মামলায় জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এই মুহুর্তে জেল হেফাজতে। তাই জেলার সাংগঠনিক রাশ নিজের হাতেই তুলে নিতে চান তৃণমূল সুপ্রিমো। সেকারণেই চলতি মাসের শেষেই বীরভূম সফরের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। কিন্তু মমতার বীরভূম সফরের আগেই বড় প্রশ্নের মুখে পড়তে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল৷
একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার হওয়ার পর পুনরায় জনসংযোগ কর্মসূচি গড়ে তুলতে দিদির সুরক্ষাকবচের কথা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু জেলায় জেলায় দিদির দূতকে ঘিরে যে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে তাতে প্রশ্নের মুখে শাসক দল৷ প্রতিনিয়ত এই বিক্ষোভ নজরে পড়ছে বীরভূম জেলাতেই। জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল না থাকা এবং গরু পাচারের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা, পুরো বিষয়টাতেই চিন্তায় ছিল ঘাসফুল শিবির৷ পরে দিদির দূত কর্মসূচিতে প্রকাশ্য হয়েছে দলের ফাটল৷
অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে দলের অন্দরে কোন্দল দেখা দিয়েছিল৷ সেটা গরাদের ভিতরে কর্মীদের উদ্দেশ্যে কেষ্টর সাবধানবার্তা স্পষ্ট করেছিল৷ কখনও জল, কখনও রাস্তা আবার কখনও সরকারী সুযোগ সুবিধা সাংসদ শতাব্দী রায়কে ঘিরে বারবার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কর্মীদের একাংশ। আবার কখনও তাঁর আচরণ নিয়ে কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা৷ আবার বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধুমকেতু বলে কটাক্ষ করছেন কেউ। সব মিলিয়ে, জেলায় জেলায় বিক্ষোভের মুখে নেতারা পড়লেও বীরভূম নিয়ে মোটেই নিশ্চিন্ত নয় তৃণমূল।
এতদিন ধরে দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী নেতা কেষ্টর উপস্থিতি নিশ্চিন্তে রেখেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁর জেলমুক্ত হওয়া প্রশ্নাতীত। কেষ্টর গড়ে গিয়ে দলীয় কোন্দল নিয়ে প্রশ্নের মুখে তৃণমূল সুপ্রিমোকেই পড়তে হবে না তো? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে৷