Mamata Banerjee’s Explosive Statement: ‘I Am Ready to Go to Jail
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (mamata banerjee) বৈঠক করছেন চাকরি হারা শিক্ষকদের সাথে। বৈঠকে র আগেই মিটিংয়ের পাস্ নিয়ে তৈরী হয়। বৈঠকে বারে বারে নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি। মমতা বলেন ‘যাত্রা পালা করে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন যে যাদের চাকরি চলে গেছে কোনো নোটিশ না পাওয়া পর্যন্ত তারা কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। বৈঠকে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন “সুপ্রিম কোর্ট কেন যোগ্য অযোগ্য দের তালিকা দেয়নি। আমরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে তালিকা চাইবো।”
অযোগ্য বিচার করার দায়িত্ব কার
এখন প্রশ্ন যোগ্য অযোগ্য বিচার করার দায়িত্ব কার উপরে রাজ্য সরকার না সুপ্রিম কোর্ট। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে যোগ্যদের চাকরি বাতিল করা হবেনা কিন্তু যেখানে মিটিংয়ের আগেই এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরী হল যোগ্য এবং অযোগ্যদের সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে তারপর এই ইস্যুর ভবিষ্যৎ কি তা নিয়েও থাকছে প্রশ্ন। “কাজ করতে গেলে দু একটা ভুল হতেই পারে দরকার পড়লে জেলে যাবো।”
এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বৈঠক। সবচেয়ে বড় কথা এই বৈঠকে সদর্থক কিছু উঠে আসেনি, যদিও মমতা বলেছেন শিক্ষকদের কাজ চালিয়ে যেতে। অনেকে পরীক্ষার খাতা দেখছিলেন তারা কাজ না করলে এর প্রভাব পড়তে পারে পরীক্ষার রেসাল্টেও সে কোথাও তিনি বলেছেন।
চাকরিহারা রা বৈঠকের পর অসহায় বোধ করছেন
তবে চাকরিহারা রা বৈঠকের পর অসহায় বোধ করছেন। “এই বৈঠক ললিপপ ছাড়া কিছুই না” একথাও বলেছেন চাকরিহারাদের একাংশ। আবার একাংশ বলেছেন “প্রতিশ্রুতি এবং বাস্তবে অনেক ফারাক।” বৈঠকে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে আক্রমণ করে বলেছেন “কেন তুমি আপিল করলে।”
মুখ্যমন্ত্রী (mamata banerjee) এও বলেছেন
আবার মুখ্যমন্ত্রী এও বলেছেন “বাম জমানায় প্রাপ্ত চাকরিজীবীদের চাকরি খাইনি।” সরকার যে চাকরি দিয়েছে তা সঠিক কিন্তু কিভাবে। তাহলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ তার সঙ্গীরা আজ জেলে কেন ? এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তিনি যোগ্য এবং অযোগ্য দুয়ের পাশেই থাকবেন। এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করেও শিক্ষকদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন যে মমতা বন্দোপাধ্যার কিসের দায় যে তাকে অযোগ্যদের পশে দাঁড়াতে হবে।
শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন
আজকের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কার্যত সময় চাইলেন এবং খুব পরিষ্কার ভাবে জানিছেন তাদের তদন্ত করবার সময় দিতে হবে। কিন্তু কোথাও গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কে চ্যালেঞ্জ করেছেন। বিরোধী দলনেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন “এই বৈঠক বিরোধীদের এবং দেশের আইন ব্যাবস্থাকে টার্গেট করার জন্য ডাকা হয়েছিল, শিক্ষকদের জন্য নয় এবং আজকের চিত্রনাট্য খুব ই দুর্বল।” এদিকে মুখ্যমন্ত্রী (mamata banerjee) তার বক্তব্যে একাধিক জায়গায় বলেছেন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেও এই ধরণের ঘটনার নজির আছে তা নিয়ে কোর্টের মাথাব্যাথা নেই কেন।
মারুতি গ্র্যান্ড ভিটারাকে টক্কর দিতে টাটা রাস্তায় নামাচ্ছে কার্ভ সিএনজি
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিরোধী দল বিজেপি মমতার এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেছে, “তিনি আদালতের রায়কে অমান্য করার চেষ্টা করছেন। এটা গণতন্ত্রের প্রতি অশ্রদ্ধা।” বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দুর্নীতি তৃণমূলের রক্তে মিশে আছে। আদালত সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা মমতার এই মানবিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। তাঁরা বলছেন, “দিদি সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন।”
শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের জন্য একটি নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। তিনি বলেন, “আমরা চাই, যোগ্যরা তাঁদের চাকরি ফিরে পাক। কিন্তু এবার সবকিছু স্বচ্ছভাবে হবে।” এই প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, শিক্ষকদের কাছে এই আশ্বাস একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে। অনেকে বলছেন, “আমরা আবার সুযোগ পেলে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করব।”
সমাজে প্রভাব
বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার উপর গভীর প্রভাব
এই ঘটনা বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। একদিকে, নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে স্বচ্ছতার দাবি উঠেছে, অন্যদিকে শিক্ষকদের জীবিকা হারানোর ঘটনায় সহানুভূতির সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন যে এত বড় সংখ্যায় শিক্ষক বরখাস্ত হলে স্কুলগুলির পঠনপাঠন কীভাবে চলবে। একজন অভিভাবক বলেন, “আমাদের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় আছি।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অবস্থান তাঁর ‘মানুষের মুখ্যমন্ত্রী’ ইমেজকে আরও শক্তিশালী করেছে। তিনি শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়ে একটি মানবিক বার্তা দিয়েছেন, যদিও এটি আদালতের রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আগামী দিনে এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া কীভাবে এগোয় এবং শিক্ষকদের ভাগ্যে কী ঘটে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। বাংলার রাজনীতি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে এই ঘটনা দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে চলেছে।