পঞ্চায়েতে ভোট সন্ত্রাসে নিহত ১৯ জনের পরিবারকে হোমগার্ডের চাকরি, সঙ্গে আর্থিক সাহায্য়ের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। বুধবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বৈঠক থেকে কড়া আক্রমণ করেন মমতা।
রাজ্যে পঞ্চায়েতের দিন ঘোষণার পর থেকেই ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হতে থাকে গ্রাম বাংলার পরিস্থিতি। পঞ্চায়েতের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে শুরু হয় অশান্তি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। আসে মৃত্যুর খবর। ভাঙড় হয়ে ওঠে সংঘর্ষের হটস্পট।
গত ৮ জুলাই শনিবার ছিল এক দফায় ২২ টি জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোট প্রক্রিয়ার আগে থেকেই শুরু হয় মৃত্যুমিছিল। পঞ্চায়েত পুনর্নির্বাচনের (১০ জুলাই) অব্যাহত থাকে সেই একই পরিস্থিতি। এবং গতকাল শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত গণনা এবং তাতেও ফের ঝরেছে প্রাণ। গতকাল রাতে ফের উত্তপ্ত ভাঙড়, মৃত আরও ৩। আজ গণনার দ্বিতীয় দিনে মৃতের সংখ্যা ৪৭। মনোনয়ন এর শুরু থেকে আজ অবধি (গত ৩৫ দিনে) রাজ্যে ভোটের বলি ৪৭!
এবার মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বিক্ষিপ্ত ঘটনায় কয়েকজন মারা গেছে, আমি দুঃখিত।’ এছাড়াও মমতা বলেন, “আমরা কী অপরাধ করেছি? বিরোধী থাকার সময় শুধু মার খেয়েছি। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিদ্বেষমূলক মনোভাব। আমি অপরাধ করলে শাস্তি দিন, মেনে নেব, কিন্তু এত মিথ্যে!’সমালোচনা-কুৎসা করে শক্তি বাড়িয়েছে বিরোধীরা, এজন্য ধন্যবাদ। আমি সারাজীবন শান্তি নিয়ে কলম ধরেছি। পঞ্চায়েতের ফল বেরিয়েছে, অপরাধ করলে মেনে নেব।“
তৃণমূল সুপ্রিমো প্রশ্ন তুলে বলেন, “ভাঙড়, ডোমকলে আমাদের কর্মীর মৃত্যু হয়েছে, আমরা তো জিতিনি। ৭১ হাজার বুথে ভোট হয়েছে, বড়জোর ৭টা বুথে বিক্ষিপ্ত গন্ডগোল ঘটানো হয়েছে। যে ভোট নষ্ট করেছে, পুকুরে ব্যালট বাক্স ফেলছে, কেন গ্রেফতার হবে না?”