রবিবার রাতে বারুনির মেলা চলাকালীন হঠাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে রীতিমতো জোর করে বড়মার ঘরের তালা ভেঙে ঢোকেন শান্তনু ঠাকুর। আর তাতেই শুরু কোন্দলের। বড়মা বীণাপাণি দেবীর মৃত্যুর পর তাঁর ঘরে থাকেন মমতাবালা ঠাকুর। তবে বড়মার সেই ঘর নিয়ে দুপক্ষের রেষারেষি দীর্ঘদিনের। গতরাতে মাত্রা ছাড়ায় অশান্তি।
আজ সোমবার সকাল থেকেই বড়মার ছবি নিয়ে ঘরের দরজায় ধরনায় বসেন মমতা ঠাকুর। নিজের মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই অধিকারের দাবিতে মমতাবালা ধরনায় বসেন। শুধু তাই নয়, আজ বিকেল ৪টের সময় ঠাকুরনগর স্টেশন থেকে ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত মিছিলও করবেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর।
প্রধানমন্ত্রী যেখানে বারবার মহিলাদের অধিকারের কথা বলেন, তখন তাঁরই পরিবারের সদস্য শান্তনু ঠাকুর কীভাবে একজন মহিলার ওপর এরকম অত্যাচার করেন প্রশ্ন তুলেছেন মমতাবালা। তবে চুপ করে বসে নেই শান্তনু ঠাকুরও। পাল্টা ধরনার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। শান্তনু ঠাকুরের কথায়, আমার ঠাকুরদার ঘর, আমিও থাকতে পারব না? এটা কীরকম আইন? আমি এই ঘরেই থাকব।