এক কেন্দ্রেই ৪২ হাজার জাল ভোটার, বিজেপির দাবি—সবাই বাংলাদেশি!

উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রে ৪২ হাজার ভূতুড়ে ভোটারের সন্ধান মিলেছে বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। দলের বিশেষ প্রতিনিধি দলের একটি সার্ভে রিপোর্টে…

maldah-42000-ghost-votes-lok-sabha-constituency-shocking-survey-report

উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রে ৪২ হাজার ভূতুড়ে ভোটারের সন্ধান মিলেছে বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। দলের বিশেষ প্রতিনিধি দলের একটি সার্ভে রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। বিজেপির অভিযোগ, এই ভুয়ো ভোটাররা সবাই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং তৃণমূল কংগ্রেস তাদের পরিকল্পিতভাবে ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করছে।

বিজেপির সার্ভে অনুযায়ী, চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া, মালতিপুর, ওল্ড মালদহ, গাজোল ও হবিবপুর—এই সাতটি বিধানসভা নিয়ে গঠিত উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রে গড়ে প্রতি বিধানসভায় প্রায় ৬ হাজার ভূতুড়ে ভোটার রয়েছে। আব্দুল জব্বার, আব্দুল খালেক, আনো বেগমের মতো নাম কাগজে-কলমে চাঁচলের বাসিন্দা হিসেবে থাকলেও, তাদের কোনো অস্তিত্ব মেলেনি। একই ব্যক্তির একাধিক এপিক কার্ড, বাবার নাম এক, কিন্তু এপিক নম্বর আলাদা—এমন চিত্র উঠে এসেছে। বিজেপি দাবি করছে, এই ৪২ হাজার ভোটার পরিকল্পিতভাবে তালিকায় ঢুকিয়ে ভোট কারচুপির প্রস্তুতি চলছে।

kolkata24x7-sports-News

   

দলটির বিশেষ প্রতিনিধি দল গত লোকসভা ভোট থেকে এই সার্ভে শুরু করেছে, যা এখনো চলমান। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও এই বিষয়ে তদন্ত করছে। বিজেপির রিপোর্টে বলা হয়েছে, চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়ায় উগ্র মৌলবাদীদের সক্রিয়তা রয়েছে, যারা একসময় সিমির সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে। এই তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বাংলায় হিন্দুদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তৃণমূল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করছে।” পাল্টা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, “এরা ১৯৭১-এর আগে-পরে পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা মাইগ্রেন্ট। এখানে আদি বাসিন্দা, রাজবংশী, নমঃশূদ্রও আছে। তারা বিজেপিকেই ভোট দেয়। তাহলে আগে কেন অভিযোগ করেনি?”

তৃণমূল ভূতুড়ে ভোটারের অস্তিত্ব অস্বীকার না করলেও বিজেপির অভিযোগ মানতে নারাজ। এই ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে।