উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ বিস্ফোরণের পর এলাকায় তীব্র ক্ষোভ। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। কমপক্ষে দশ জন মৃত। বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে এলাকাটি প্রায় ধংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
প্রতি সপ্তাহে এসে টাকা নিয়ে যেতেন মন্ত্রী। তাকে ঘিরে রাখত কয়েকজন। এমনই দাবি নীলগঞ্জবাসীর। খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, এই বাজি তৈরির কারখানা বন্ধ করতে বারবার বলা হলেও কিছুই হয়নি। অভিযোগ স্থানীয় পুলিশ, মন্ত্রী রথীন ঘোষ জানত কারখানায় বেআইনি বাজি তৈরি হয়। কিন্তু তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। রথীন ঘোষের দাবি এই বাজি কারখানা সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না। তিনি বলেন আমি আজকেই জানতে পেরেছি এই বাজি কারখানার কথা। এই বাজি কারখানার মালিক আইএসএফ কর্মী রমজান।এখানে বাইরে থেকে বাজি তৈরি করে এনে মজুত রাখা হচ্ছিল।
মন্ত্রী আইএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী জানিয়েছেন, পুলিশ তোলা নিয়ে দায়িত্ব করে তৃণমূলের নেতার বাড়িতে বাজি কারখানা করে। যদি বাজিই বানায় তাহলে তার মধ্যে জানিনা কি ভয়ঙ্কর তেজষ্ক্রিয় ছিল। যার ফলে ওখানকার একাধিক মানুষ মারা গিয়েছে। যে বাড়িতে এই কারখানা চলতো সেখানে মুর্শিদাবাদের লোকজন নিয়ে এসে কারখানায় কাজ করানো হতো। এমন কি বিস্ফোরক ছিল ওর মধ্যে যে একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওখানে আমাদের যে বুথের সভাপতি তার মা মারা গিয়েছেন। স্থানীয় যে তৃণমূল নেতা রয়েছেন তিনি এলাকা থেকে পলাতক। সত্য উদঘাটন হবে। নেতাদের কাজ হল এইসব গরীব মানুষদের নিয়ে অনৈতিক কাজকর্ম করাবে।