তৃণমূলের বুথ অফিস ভেঙে গুড়িয়ে দিল আইএসএফ

সপ্তম দফার ভোটের (Lok Sabha Election) সকাল থেকে অশান্ত ভাঙড়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে আইএসএফ এজেন্টদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকায়। পাল্টা দিয়েছে আইএসএফও! ভাঙড়ের…

lok-sabha-election-trinamools-booth-office-was-demolished-by-isf-bhangar

সপ্তম দফার ভোটের (Lok Sabha Election) সকাল থেকে অশান্ত ভাঙড়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে আইএসএফ এজেন্টদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকায়। পাল্টা দিয়েছে আইএসএফও! ভাঙড়ের সাতুরিয়া উত্তরে তৃণমূলের বুথ অফিস ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে আইএসএফ এবং সিপিএম, এমনটাই অভিযোগ করেছেন রাজ্যের শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা।

তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, তাঁরা ভোর ৫টা থেকে বুথ অফিসে বসেছিলেন। আচমকা সিপিএম-আইএসএফে ৫০ জন লোক এসে বুথ অফিসে ভাঙচুর চালায়। চেয়ার-টেবিল ভেঙে দেওয়া হয়। ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়া হয়। বোমাবাজির পাশাপাশি গুলিও চালায় ওরা। এক কর্মীর আঙুল উড়ে গিয়েছে। তৃণমূলের অস্তিত্ব রাখব না বলে হুমকিও দেয় হামলাকারীরা।

   

এদিকে ফুলবাড়িতে এজেন্ট বসানো নিয়ে তৃণমূল এবং আইএসএফের মধ্যে বচসা হয়। আইএসএফের অভিযোগ, তাদের এজেন্ট বসাতে গেলে আইএসএফ কর্মীদের উপর আক্রমণ করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পাল্টা আইএফএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। ঘটনায় দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত। এক মহিলাকে মাথা ফেটেছে তৃণমূলের আক্রমণে, এমনটাই দাবি আইএসএফের।

ভাঙড় আছে ভাঙড়েই! তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ, মাথা ফাটল মহিলার

বরাবরই ভোট ঘিরে অশান্তির সাক্ষী থেকেছে ভাঙড়। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখানে আরাবুল ইসলামের দাপট থাকলেও গত বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড় আসনে জয়লাভ করে আইএসএফ। তারপর থেকেই তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে বারেবারে উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাঙড়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়।

এরপরই কলকাতা পুলিশের হাতে ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব তুলে দেয় রাজ্য সরকার। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র জিততে তৃণমূলের বড় ভরসা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বিধানসভা ভাঙড়। যাদবপুর লোকসভা আসনে এবার তৃণমূল টিকিট দিয়েছে দাপুটে যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। সিপিএমের টিকিটে লড়ছেন সৃজন ভট্টাচার্য।

ভোট প্রক্রিয়া শুরু, এদিকে নাক ডেকে ঘুমোচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান!

আজ, শনিবার সপ্তম দফায় রাজ্যের ৯ কেন্দ্রে নির্বাচন হচ্ছে। সেগুলি হল – বারাসত, দমদম, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তর। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সব কটি আসনই তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছিল। তৃণমূলের গড়ে এবার পদ্ম ফোটাতে মরিয়া বিজেপি। একই সঙ্গে হারানো জমি ফিরে পেতে তৎপর বামেরাও।

দক্ষিণবঙ্গের এই আসনগুলিতে লড়াই তাই হাড্ডাহাড্ডি। আগের দফাগুলিতে বিক্ষিপ্ত গন্ডগোল হওয়ার এবারে সতর্ক কমিশন। ভোট শান্তিপূর্ণ করতে রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী ও কুইক রেসপন্স টিম মোতায়েন করা হয়েছে শেষ দফার নির্বাচনে। সপ্তম দফার ৯ আসনে মোট বুথের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৭০টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ৭৪৮টি বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হয়েছে।

ভোট দিতে বাধা! অভিষেকের ‘খাসতালুকে’ ইভিএম জলে ফেললেন গ্রামবাসীরা

বাংলায় এখন রয়েছে মোট ১০২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর মধ্যে আজ, সপ্তম দফার ভোটে ব্যবহার করা হচ্ছে ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে। স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে ১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্ট্রং রুমের নিরাপত্তায় ১৩ হাজার পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।

সপ্তম দফার ভোটে রেকর্ড সংখ্যক কুইক রেসপন্স টিম রয়েছে বাংলায়। শনিবার রাজ্যের ৯ কেন্দ্রে কুইক রেসপন্স টিমের সংখ্যা ১৯৫৮। এর মধ্যে কলকাতায় থাকছে ৬০০ কুইক রেসপন্স টিম। এর আগে কোনও দফায় এত সংখ্যক কুইক রেসপন্স টিম ছিল না। কমিশনের দাবি, এবার মাত্র ১৫ মিনিটে স্পটে পৌঁছে যাবে কিউআরটি।