শনিবার, ২৫ মে মেদিনীপুরে লোকসভা কেন্দ্রে ভোট (Lok Sabha Election)। তার তিনদিন আগে হেভিওয়েট বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। খড়গপুর সদরে বিজেপির ২ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি তারকেশ্বর রাও-কে মঙ্গলবার মাঝরাতে গ্রেফতার করেছে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। ধৃতের পরিবারের দাবি, মাঝরাতে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে তারকেশ্বরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে চায়নি পুলিশ।
খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ জানিয়েছে, দরজা ভাঙার ঘটনা ঘটেনি। ওনাকে গ্রেফতার করতে যাওয়া হয়েছিল। পরিবারের লোকই নিজে থেকে দরজা খুলে দিয়েছে। যদিও কী অভিযোগে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানায়নি পুলিশ। স্থানীয় সূত্রের খবর, নিজের দলেরই এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগে তারকেশ্বর রাওকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভোটের তিনদিন আগে দলের হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতার করায় স্বভাবতই বিজেপির অন্দরে ক্ষোভে সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের একাংশের দাবি, মেদিনীপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের হার নিশ্চিত। তাই বেছে বেছে বিজেপির প্রভাবশালী নেতা-কর্মীদের টার্গেট করা হচ্ছে। তবে এসব করে কোনও লাভ হবে না। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল সহজ জয় পাবেন।
PM Modi: তাঁর উত্তরসূরি কে? ভোট-ষষ্ঠীর আগে বিরাট ঘোষণা মোদীর
মেদিনীপুর কেন্দ্রে এবার তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, এমনটাই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। এই কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়ছেন অগ্নিমিত্রা পাল। আর তৃণমূলের টিকিট দিয়েছে বিধায়ক তথা সেলিব্রিটি মুখ জুন মালিয়াকে। মঙ্গলবার অগ্নিমিত্রা সমর্থনে মেদিনীপুর টাউনে হুডখোলা গাড়িতে রোড শো করেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
সেই রোড শো-তেও হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিছিল চলছিল। আচমকাই মিছিল লক্ষ্য করে বোতল ছুঁড়তে শুরু করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ইটও ছোড়া হয়। পাল্টা জবাব দেয় বিজেপি কর্মীরা। দু’পক্ষের মধ্যে বোতল বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়।
পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে গাড়ি থেকে অগ্নিমিত্রা আবেদন জানান, বোতল ছুড়বেন না। যদিও এই আবেদনে কোনও লাভ হয়নি। এদিকে মিঠুন চক্রবর্তীকে বাঁচাতে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা শিল্ড ব্যবহার করেন। কোনওক্রমে রক্ষা পান মিঠুন-অগ্নি। পুলিশের সামনেই তৃণমূল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মিছিলে যোগদানকারী বিজেপি কর্মীরা।