Sagardighi by-election: সাগরদিঘিতে বামের ঘাড়ে চেপে কংগ্রেসের উচ্ছ্বাস! পিছিয়ে তৃণমূল

সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে (Sagardighi by-election) জয়ের জন্য ১০০ শতাংশ আশাবাদী বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। বেলা গড়াতেও একই ছবি ধরা পড়ল।

byron biswas

সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে (Sagardighi by-election) জয়ের জন্য ১০০ শতাংশ আশাবাদী বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। বেলা গড়াতেও একই ছবি ধরা পড়ল। এখনও অবধি তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে পিছনে ফেলে প্রায় ২ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী।

তৃতীয় রাউন্ডের গণনার শেষে ১,৯৩৯ ভোটে এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী। ব্যবধান কমাল তৃণমূল। তৃতীয় রাউন্ডের শেষে কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ১৬,৪৯৬। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ১৪,৫৩৭। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৫০০০। কংগ্রেস প্রার্থির কথায়, কংগ্রেসই জয়ী হবে। জনগণ তাই বলছে। আমি ১০০ শতাংশ আশাবাদী। সাধারণ মানুষ সজাগ হয়েছে। তৃণমূলের অত্যাচার, চুরি-চামারি বুঝতে পারছে। বেকারত্ব-এইসব সমস্যা বুঝেই মানুষ এবার কংগ্রেসকে চেয়েছে। পরিবর্তন হবেই।

অন্যদিকে, বাম সমর্থিক কংগ্রেস প্রার্থীর এগিয়ে থাকা দেখেই জয়ের উচ্ছ্বাস সাগরদিঘি জুড়ে। পটকা, বাজি, আবির নেমে উপস্থিত হয়েছেন কংগ্রেস সমর্থকরা। বিধানসভা নির্বাচনে যে খরা কংগ্রেসের ছিল, তা এবার মিটবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ফল ঘোষণা আর কিছু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

বরাবরই উপনির্বাচনে শাসক দলই প্রাধান্য পেয়ে থাকে৷ কিন্তু এবার নবাবের জেলায় বদলের হাওয়ার পূর্বাভাস আগে থেকেই পাচ্ছিল রাজনৈতিক মহল৷
সাগরদিঘি আসন থেকে বিধানসভা নির্বাচনের জয়লাভ করেন সুব্রত সাহা৷ পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেবিনেটে মন্ত্রী হন তিনি৷ গত ডিসেম্বর মাসে তাঁর প্রয়াণে সেই আসনে ভোটের কথা ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সেই নির্দেশ মোতাবেক ২৭ ফেব্রুয়ারি হয় নির্বাচন৷ মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে বলেই দাবি করা হচ্ছিল। ভোট পড়ে ৭৮.১৮ শতাংশ। সাগরদিঘি নির্বাচনের প্রভাব কী পঞ্চায়েত নির্বাচনে পড়বে? উঠছে প্রশ্ন।