সিবিআইয়ের হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে পুকুরে ফেলে দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jibankrishna Saha)। দীর্ঘ ৬৫ ঘন্টা ধরে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করে সিবিআই। চূড়ান্ত নাটকীয় পর্ব চলেছিল জীবনকৃষ্ণের বাড়ির এলাকায়। কিন্তু কেন পুকুরেই ফোন ফেলেছিলেন জীবনকৃষ্ণ? শুক্রবার আদালতে তা স্পষ্ট করলেন জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী।
জীবনের আইনজীবীর দাবি, ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। তাঁর মেয়ে শিলিগুড়িতে পড়াশোনা করেন। প্রতিদিন সন্ধেয় মেয়ে ও বাবার কথা হয় ফোনে। সেই কারণে, মেয়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য তিনি মোবাইলটি দেওযার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। সেটি না দেওয়ার কারণেই হঠাৎ রাগ করে ফেলে দেন তিনি। কিন্তু পুকুরেই কেন ফোনটি ফেলেছিলেন জীবনকৃষ্ণ? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
শুরু থেকেই সিবিআইয়ের অফিসারদের মনে জাগতে শুরু করেছিল, কি কারণে ফোনটি পুকুরে ফেলেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। তাঁর ফোনে কী গুরুত্বপূর্ণ নথি থাকতে পারে? সেকারণে দীর্ঘ সময় ধরে পুকুরে পাক ঘেঁটে ফোন দুটি উদ্ধার করে সিবিআই। সেই ফোন উদ্ধারের পর আদালতের নির্দেশ ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। একইসঙ্গে ফোন থেকে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসে কি না, তার জন্য বিশেষজ্ঞদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল।
সিবিআইয়ের তরফে এদিন আদালতে বলা হয়, জীবনকৃষ্ণের সম্পর্কে দুর্নীতির বিস্তর তথ্য মিলেছে। বিভিন্ন চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে এজেন্ট মারফত যে বিপুল অঙ্কের টাকা জীবনকৃষ্ণ তুলেছিলেন, সেই তথ্যও হাতে পেয়েছে সিবিআই। এমনকি জীবনকৃষ্ণের সঙ্গে ধৃত কৌশিক ঘোষের একাধিক নথি হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এসম্পর্কে অবশ্য জীবনকৃষ্ণের আইনজীবীর যুক্তি ছিল, আমারমক্কেল একজন বিধায়ক। ওনার অনেক রাজনৈতিক শত্রু রয়েছে। ওনার বাড়ি থেকে নথি পাওয়া যায়নি। বাইরে কে ফেলি দিয়ে গিয়েছে, তা আমার মক্কেল কীভাবে জানবেন? জীবনকৃষ্ণের গ্রেফতারির বিষয়ে বিধানসভার স্পিকারকে অবগত করা হয়েছে কিনা, তা জিজ্ঞেস করেন বিচারক। আগামী ২৫ এপ্রিল অবধি সিবিআই হেফাজতে থাকবেন জীবনকৃষ্ণ।