অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে শুরু করে আইএমডির পূর্বাভাস। সময়ের আগেই রীতিমতো রুদ্রমূর্তি ধারণ করে ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শুরু হল সাইক্লোন ‘রেমাল’ (Cyclone Remal)-এর।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ৯:৩০ মিনিট থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা অতিক্রম করতে শুরু করে দিয়েছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা থেকে হলদিবাড়ির মধ্যে আছড়ে পড়ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ভয়াবহ দুর্যোগের আশঙ্কায় কাঁপছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা সহ দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় এলাকার মানুষজন। ইতিমধ্যে কয়েক লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি জায়গায় জায়গায় যে কন্ট্রোল রুমগুলি খোলা হয়েছে সেখান থেকে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হয়েছে।
বড়সড় ক্ষতি রুখতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে সুন্দরবন ও সাগর দ্বীপ সহ উপকূলীয় অঞ্চল থেকে প্রায় ১.১০ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনকি জায়গায় জায়গায় রিলিফ ক্যাম্প খোলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। অন্যদিকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় কলকাতায় প্রায় ১৫ হাজার পুরকর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঝড় কলকাতায় প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছি।’
এদিকে আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কলকাতায় এই ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এনডিআরএফ-এর মোট ১৪টি দল পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রেমালের ল্যান্ডফলের কথা বিবেচনা করে উদ্ধার ও ত্রাণ অভিযানে সহায়তা করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলা থেকে কত দূরে অবস্থান করছে এই রেমাল জানেন? এই প্রসঙ্গে আইএমডি জানাচ্ছে, অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি সাগর দ্বীপ থেকে ১৩০ কিমি, বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ১৪০ কিমি এবং ক্যানিং থেকে ১৪০ কিমি দূরে রয়েছে। এদিকে ল্যান্ডফলের সময়ে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ১১০ থেকে ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা হতে পারে। আজ রাত ১১:৩০ থেকে ১টার মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা।