টানা চারদিন জঙ্গনমহলের জেলাগুলি ছিল রেল ও সড়কপথে গোটা রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন। পঞ্চম দিনে উঠল কুড়মি অবরোধ (Kurmi protest)। তফশিলি অধিকারভুক্ত হতে এই বিক্ষোভ ও অবরোধের জেরে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার সাথে কলকাতা ও হাওড়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, আন্দোলনের চাপে রাজ্যের মুখ্যসচিব চিঠি দেন কুড়মি সমাজের নেতাদের। অনুরোধ করা হয় গরম ও রমজানের সময় যাত্রীদের কষ্ট ভেবে দেখার জন্য। সেই অনুরোধ মানলেও তফশিলি অধিকারে অনড় কুড়মি সমাজ।
মুখ্যসচিবের চিঠির পর পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশন থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন কুড়মি নেতা অজিত মাহাত। তিনি বলেন, অবরোধ তুললেও আন্দোলনে অনড় কুড়মি সমাজ। তবে রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে কুড়মিদের তফশিলি তালিকায় ফেলতে হবে। তা না হলে ফের অবরোধে হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি এসেছে কুড়মি সমাজের তরফে।