জঙ্গলমহলে কুড়মি প্রার্থী, একসাথে তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ

নিজেদের তফশিলি তালিকাভূক্ত করার দাবিতে বারবার বনধ অবরোধ করে জঙ্গলমহলের জেলাগুলিকে বিচ্ছিন্ন করা কুড়মিরা এবার পঞ্চায়েত ভোটে সরাসরি নামলেন। শাসক তৃণমূল ও বিরোধী বিজেপির বিরুদ্ধে…

নিজেদের তফশিলি তালিকাভূক্ত করার দাবিতে বারবার বনধ অবরোধ করে জঙ্গলমহলের জেলাগুলিকে বিচ্ছিন্ন করা কুড়মিরা এবার পঞ্চায়েত ভোটে সরাসরি নামলেন। শাসক তৃণমূল ও বিরোধী বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের বিদ্রোহ গড়াল পঞ্চায়েতে ভোটের ব্যালট পেপারে। তাৎপর্যপূর্ণ, কুড়মি সমাজ বাম ও কংগ্রেসের বিষয়ে নীরব।

পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে মনোনয়নে হাজির কুড়মি নেতারা। কুড়মি সম্প্রদায়ের আন্দোলনের ঘাগরঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুমন মাহাতো বলেন-” শাসক দল থেকে বিজেপি সহ সমস্ত দলই বলেছে কুড়মি নাকি কোন ফ্যাক্টর নয়। তাই আমরা আমাদের জাতের ভিত্তিতে পৃথক প্রার্থী দাঁড় করাতে চলেছি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে ৩৫ জন গ্রাম পঞ্চায়েতে, দুজন জেলা পরিষদে, পঞ্চায়েত সমিতিতে তিনজন প্রার্থী কুড়মি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন দেবেন। কুড়মিরা শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট দেবে‌। “

জঙ্গলমহল জুড়ে কুড়মি সম্প্রদায়ের অধিকার আন্দোলন শুরু হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে শাসকদলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে নিজেদের কুড়মি প্রার্থী মনোনয়ন দিতে হাজির হলেন কুড়মি সম্প্রদায়ের নেতারা। তারা জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুরে চল্লিশ জন প্রার্থী দাঁড়াবেন ভোটে।

পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার বিস্তির্ণ অঞ্চল তথা জঙ্গলমহলের গ্রামাঞ্চলে কুড়মি সমাজের নির্দেশে তাদের সমাজভুক্ত কোনও বাড়ির দেওয়ালে কোন রাজনৈতিক দল প্রচার করতে পারেনি। কুড়মি সমাজ জানিয়েছে তাদের কাছে জাত আগে। কুড়মিদের এসটি সম্প্রদায়ভুক্ত না করলে বিদ্রোহ চলবে। সেজন্য সমস্ত মাহাতোদের অন্যান্য রাজনৈতিক দল ছেড়ে বেরিয়ে আসতে নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী সংকট তৈরি হয়েছে জঙ্গলমহলে।

শালবনির তৃণমূল নেতা কাশেম আলি বলেন জঙ্গলমহলের মাহাতো কুড়মিদের অনেকেই আমাদের সঙ্গে আছে। ওরা আলাদা করে কেন রাজনীতিতে মিশতে চাইছে জানিনা, তবে এর কোনো প্রভাব আমাদের ওপর পড়বে না।

কুড়মিদের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ঘেরাও করা হয়েছিল। পরে খড়্গপুরে তার বাড়িতে হামলা হয়। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য নিয়েও ক্ষুব্ধ কুড়মি সমাজ।