HomeWest BengalKolkata CityKashmir: ভূস্বর্গ নরক হয়ে উঠেছে, সরকারকে দূষে কাশ্মীর ছাড়ছেন পণ্ডিতরা

Kashmir: ভূস্বর্গ নরক হয়ে উঠেছে, সরকারকে দূষে কাশ্মীর ছাড়ছেন পণ্ডিতরা

- Advertisement -

নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যাওয়ার পরেই কাশ্মীরে (Kashmir) সক্রিয় হয়ে উঠেছে একাধিক জঙ্গি সংগঠন। গত একমাসে ভূস্বর্গে একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। একের পর এক হামলা ও হত্যাকাণ্ডে আতঙ্কিত পণ্ডিতরা উপত্যকা ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেছে। তবে যাওয়ার আগে ফের তারা আঙ্গুল তুলেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের দিকে। পণ্ডিতদের অভিযোগ, উপত্যকায় যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে মোদি সরকার।  

গত সপ্তাহে মাখনলাল বিন্দ্রু নামে এক সমাজকর্মী তথা ওষুধের দোকানের মালিককে প্রকাশ্যেই গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। তার দু’দিন পর দুই শিক্ষককেও জঙ্গিরা গুলি করে খুন করে। নিহত ২ শিক্ষকের মধ্যে একজন পন্ডিত সম্প্রদায়ের অপরজন শিখ। এ ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে, শুধু পণ্ডিতরা নন, সংখ্যালঘু শিখরাও জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে।

   

পরপর তিন জনের খুনের পর গোটা পণ্ডিত কলোনিতে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সন্ধ্যার পর কাউকেই আর রাস্তায় দেখা যাচ্ছে না। পন্ডিত সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, কলোনির ভিতর তাও নিরাপত্তা আছে। কিন্তু তাঁরা বাইরে বের হতে ভরসা পাচ্ছেন না। অথচ তাঁদের চাকরি বা বিভিন্ন কাজের জন্য বের হতেই হয়। এভাবে তাঁরা কিভাবে বা কতদিন ঘরে বসে থাকবেন।

উল্লেখ্য, সরকার চাকরি এবং পুনর্বাসন দেওয়ায় নয়ের দশকের উপত্যকা ছাড়া কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারগুলি ফের উপত্যকায় ফিরে এসে নতুন করে জীবন শুরু করেছে। কিন্তু তাদের জীবন ফের অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

শনিবারই কাশ্মীর ছেড়ে চলে যেতে দেখা গিয়েছে এক পন্ডিত পরিবারকে। ওই পরিবারের কর্তা ঘনশ্যাম কাটারিয়া বলেছেন, নয়ের দশকের অন্ধকার সময়েও তিনি বা তাঁর পরিবার কাশ্মীর ছেড়ে যাননি। কিন্তু যেভাবে বেছে বেছে সংখ্যালঘুদের খুন করা হচ্ছে তাতে তিনি আর কাশ্মীরে থাকতে ভরসা পাচ্ছেন না। সে কারণেই তিনি পরিবার নিয়ে উপত্যকা’ ছেড়ে আপাতত দিল্লি যাচ্ছেন।

নিহত শিক্ষকদের বৃদ্ধা মা কান্তা দেবী বলেছেন, সরকার ও প্রশাসন সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সে কারণেই জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত। কাশ্মীর এখন আর ভূস্বর্গ নয় বরং নরক হয়ে উঠেছে। সেখানে ফিরেছে নয়ের দশকের সেই রক্তাক্ত দিন। কাশ্মীরি পণ্ডিত সংঘর্ষ সমিতির প্রধান সঞ্জয় টিকু বলেছেন, কিছু কাশ্মীরি পরিবার ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে। আরও অনেক পণ্ডিত পরিবার উপত্যকা ছাড়ার ব্যাপারে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

কাশ্মীরি পণ্ডিত ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ক্ষোভকে কাজে লাগাতে ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। ইতিমধ্যেই এই সমস্ত সংগঠনগুলি কাশ্মীরে পাকিস্তান বিরোধী একাধিক মিটিং মিছিল করেছে। পাকিস্তানের পতাকাও পুড়িয়ে দিয়েছে তারা।

- Advertisement -
online desk
online desk
Get Bengali news updates, Bengali News Headlines , Latest Bangla Khabar, Bengali News from Kolkata
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular