ডিম ভাতের পাতেই এবার বাড়তি পাওনা মুরগির মাংস

tmc

রবিবার সকাল থেকে সারা রাজ্য প্রায় ধর্মতলামুখী। ট্রেনে, বাসে, লঞ্চে সকলের লক্ষ্য একুশের সভার যত কাছাকাছি যাওয়া যেতে পারে। এইবার একুশে জুলাই অন্যবারের চেয়ে কিছুটা হলেও বেশী আবেগতাড়িত। কারণ এইবার লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বিপুল সংখ্যক আসন পাওয়া এবং বিজেপিসহ বাকি বিরোধীদলগুলোকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্বমহিমায় ঘাসফুল নিজের কুর্সি কায়েম করেছে। রবিবার তাই তৃণমূল সমর্থকদের কাছে কিছুটা হলেও অনেকটা পিকনিকের মেজাজ। ডিম ভাত নিয়ে তো এতদিন বিরোধীরা অনেকে অনেক কিছু বলেছে, এইবার সেই ডিম ভাতের জায়গায় এল মাংসভাত।

Advertisements

তমলুকে হার, মমতার সামনে হাউ হাউ করে কান্না দেবাংশুর!

   

যতীন্দ্র মোহন অ্যাভিনিউয়ের এক পাশে মাটিতে চাদর পেতে বসে পড়েছেন কয়েকজন। দেখা গিয়েছে, কেউ পেঁয়াজ কাটছেন, কেউ টমেটো কাটছেন, কেউ কড়াইতে তেল ঢেলেছেন। মশলা মাখানো হয়েছে মাংসতে। পুরো ‘ফিস্টি মেজাজ’! ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে দশটা। মাংসভাত খেয়ে তাঁরা রওনা দেবেন ধর্মতলায়। কীভাবে সম্ভব? পারবেন? নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো উঠে পড়বেন মঞ্চে? পারবেন পৌঁছাতে? প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁদের। পেঁয়াজ কাটতে কাটতেই বলে উঠলেন, ‘সব হবে, মাংস রান্না হতেই ২০-২৫ মিনিট লাগবে, খেতে আর কতক্ষণ! ঠিক পৌঁছে যাব?’

আবেগের সুনামিতে ধর্মতলায় ৫ হাজারের টুপিও বিকোচ্ছে ঝড়ের বেগে!

Advertisements

এবার তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ ৩১ বছরে পদার্পণ করেছে। সকাল থেকে জেলাগুলি থেকে দলে দলে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা কলকাতামুখী। ট্রেন-বাস ও অন্যান্য যানবাহনে চেপে জোড়াফুলের কর্মী-সমর্থকরা কলকাতায়। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, এবারের শহিদ সভায় রেকর্ড ভিড় হবে। যে ভিড় অন্য অনেক বছরকেই জোর টেক্কা দেবে। অন্যদিকে, ধর্মতলার শহিদ সভার মঞ্চে এবার বড়সড় চমক থাকতে পারে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।

জানা গিয়েছে, খণ্ডঘোষ থেকে ভোর পাঁচটা নাগাদ ৮০ জন এসেছেন কলকাতায়। বাসে শ্যামবাজার। তারপর সেখানেই কিছুটা জিরিয়ে নেওয়া। সঙ্গে ‘ মিনি ফিস্টি’। সভাস্থলে পৌঁছানোর আগে রাস্তার ধারেই তাই চাদর পেতে রান্নার আয়োজন। গ্যাস স্টোভ সবই প্রস্তুত। ঝপাঝপ সবাই বসে পড়েছেন পেঁয়াজের খোসা ছাড়াতে, আলু কাটতে, কেউ মাংসে মশলা মাখাচ্ছেন। শুধু ভাত মুরগির মাংসই নয়, মেনুতে থাকতে চাটনিও।