পুজোর আগেই সিজিওতে সবটা উজাড় করতে চায় পার্থ-অর্পিতা

Partha Chatterjee, Arpita Mukherjee

বঙ্গ রাজনীতিতে জুড়ে গেল আরও এক সম্পর্কের নাম। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়৷ যে কোনও অনাবিল আলোচনায় খাপ খাওয়া বাঙালি যেন আরও একটু রসদ পেল। কান পাতলেই শোনা যায় বাঙালির চর্চার নতুন সংযোজনকে ঘিরে একাধিক শব্দ মালা। হঠাৎ করে আলোচনার মধ্যমণি পার্থ ও অর্পিতার সাক্ষাত কী এবার সিজিও কমপ্লেক্সে? ইডি সূত্রে তেমনই সংকেত মিলেছে।

Advertisements

মঙ্গলবার সকালে ভুবনেশ্বর থেকে ফের নিয়ে আসা হয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি হাতে গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সোমবার তাকে ১০ দিন হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত৷ নির্দেশের পরেই এই মামলায় তৎপরতা বাড়াতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শোনা যাচ্ছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার বান্ধবী অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন ইডির আধিকারিকরা৷

   

আদালতে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানালেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে অনেক যৌথ সম্পত্তির হদিস মিলেছে। আমাদের মনে হয়, তাদের মধ্যে নিশ্চয়ই এমন কোনও সম্পর্ক রয়েছে, যার জন্য তাঁরা একসঙ্গে সম্পত্তি কিনেছেন। তবে কী সত্যিই দুই জনের মধ্যে কোনও সম্পর্ক রয়েছে? পরে সেই অভিযোগ নস্যাৎ করার চেষ্টা করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী।

ইডির আইনজীবীর এই বক্তব্য একেবারেই অমূলক বলে মনে করা হচ্ছে না। যেভাবে খুব কম সময়ে অর্পিতার সম্পত্তির বহর বেড়েছে তাতে সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক৷ সূত্রের খবর, সপ্তাহে পাঁচ দিন অর্পিতার বাড়িতে যেতেন পার্থ৷ এমনকি অর্পিতার মামার বাড়িতেও যাতায়ত ছিল মন্ত্রীর। আলাদা করে সময় কাটাতেন বারুইপুরের বাংলো ‘বিশ্রাম’ ভবনে।

Advertisements

গত শুক্রবার অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে টাকা উদ্ধার হতেই পর্দা ফাঁস হয়েছে৷ বিপুল অঙ্কের টাকার সঙ্গে মিলেছে বহু নথি। সেই নথিকে সামনে রেখেই দুই জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি৷ সেইসঙ্গে এই বিপুল অঙ্কের টাকার লেনদেনের সঙ্গে আর কারা জড়িত সেটাও বের করতে চান ইডির আধিকারিকরা৷ যদিও ইডি সূত্রে খবর, এই টাকার পরিমাণ ২০ কোটি নয়, ১২০ কোটিও হতে পারে৷

আরও পড়ুন গ্রাম কিনতে অর্পিতার আবদার:

SSC Scam: হুগলির বিরাট বাড়িতে অর্পিতার সঙ্গে পার্থ থাকতেন! পুরো গ্রাম কেনার ছক

দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, বেশীদিন তদন্ত চালিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের স্পেস না করে দিলেই ভালো৷ কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পদক্ষেপের কথাও জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির। তবে কি পুজোর আগেই সবটা খোলসা হয়ে যাবে?