বিনীত গোয়েলকে নোটিশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

Nabanna Aviyaan: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় বিচারের দাবিতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে চারিদিকে। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও সেই ঝড় আছড়ে পড়েছে। দিকে দিকে পথে নামছে সাধারণ মানুষ। আর এ রাজ্যে এই ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসক থেকে শুরু করে আইনজীবী, কলাকুশলী, সাধারণ মানুষ সহ বিভিন্ন পেশার মানুষজন রাজপথে নেমে বিচারের দাবি জানাচ্ছে। শুধু তাই নয়, সেইসঙ্গে অনেকে আবার এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগেরও দাবি তুলেছে।

Advertisements

ঠিক সেরকমই আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে ও মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে গত ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযান করেছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। কিন্তু সেই অভিযান কোনোভাবেই শান্তিপূর্ণভাবে মেটেনি। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের এই অভিযানে লাঠিচার্জ থেকে শুরু করে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ছোঁড়া, এমনকি কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ার মতো অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, এদিন শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বিশাল পুলিশ বাহিনীকে রাখা হয়েছিল নবান্ন অভিযান আটকানোর জন্য।

   

এর ফলে এই অভিযান ঘিরে সেখানে শান্তিপূর্ণ মিছিলের বদলে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা পড়ল এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানের সময় ছাত্রছাত্রীদের ওপর নির্যাতন চালানোর জন্য শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সেখানে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে তাতে বলা হয়েছে, এদিন ছাত্রছাত্রীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন ৷ কিন্তু পুলিশ তাঁদের উপর নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করেছে৷ ফলে শান্তিপূর্ণ জমায়েতের অধিকার খর্ব হয়েছে ৷

Advertisements

শুধু তাই নয়, নবান্ন অভিযানে ২০০ জন ছাত্রকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলেও বলা হয়েছে। এদিকে জানা গেছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এইসব অভিযোগের ভিত্তিতে এবার কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে চিঠি পাঠিয়েছে। এই বিষয়ে মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, যদি এইসব অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে তা মানুষের অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় পুলিশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে সেই রিপোর্ট কলকাতা পুলিশকে দু-সপ্তাহের মধ্যে জমা করতে বলেছে মানবাধিকার কমিশন।