এসে গেল সেই সময়, সাবধান!

Protect Yourself During Kalbaishakhi

কালবৈশাখী (Kalbaishakhi) মানেই বজ্রপাত তাই ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা বা উঁচু স্থানে থাকা যাবে না। সবচেয়ে ভালো হয় কোনও শেডের নিচে আশ্রয় নিতে পারলে।

Advertisements

কোথাও বজ্রপাত হলে উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এসব স্থানে আশ্রয় নেবেন না। বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভিতর থাকুন। বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।

   

বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব যন্ত্রপাতি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও ধরবেন না। বজ্রপাতের পূর্বাভাস পেলে আগেই এগুলোর প্লাগ খুলে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করুন। বজ্রপাতের সময় আপনি যদি সুইমিং পুল, কিংবা পুকুরে সাঁতার কাটেন বা জলাবদ্ধ স্থানে থাকেন তাহলে সেখান থেকে উঠে যান। কারণ জল অত্যন্ত ভাল বিদ্যুৎ পরিবাহী।

বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতো বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। এ সময় বিদ্যুৎ অপরিবাহী রবারের জুতা সবচেয়ে নিরাপদ। জলাশয় থেকে অবিলম্বে বেরিয়ে আসুন।

Advertisements

আপনার বাড়িকে বজ্রপাত থেকে নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। এজন্য আর্থিং সংযুক্ত রড বাড়িতে স্থাপন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ নিতে হবে। ভুলভাবে স্থাপিত রড বজ্রপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।

এছাড়াও কালবৈশাখীর ঝড়ে অনেক সময় তীব্র দমকা ঝড়ো হাওয়া থাকে যার সাথে মিশে থাকতে পারে অনেক সময় ধারালো বস্তু যেমন ভাঙ্গা টিনের বা ইটের টুকরো যা অনেক সময় প্রাণহানির পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে

এছাড়াও কালবৈশাখীতে অনেক সময় এই তীব্র দমকা হাওয়ার প্রভাবে গাছপালার ডাল বা সমগ্র গাছ ভেঙে পড়তে পারে বা কোন পুরনো বাড়ির দেওয়াল ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে তাই ঝড়ের সময় বাইরে থাকা স্থানে বা কোন পুরনো বাড়ি বা গাছপালার সামনে কোনমতেই থাকা উচিত নয়।