Advertisements

চাকরি না থাকলেও মিলবে সরকারি বেতন! ভাতা দেবে সরকার, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

Mamata Banerjee Accuses BJP of Targeting Muslims During Ramadan in Fiery Legislative Assembly Speech

Mamata Banerjee welfare scheme: ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহু শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী চাকরি হারিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে সেই বছরের পুরো নিয়োগ প্যানেল। এর ফলে একদিকে যেমন বহু শিক্ষককে স্কুল থেকে অব্যাহতি নিতে হয়েছে, তেমনই চাকরি হারিয়েছেন গ্রুপ ‘সি’ ও গ্রুপ ‘ডি’ পদে নিযুক্ত বহু শিক্ষাকর্মীও। তাঁদের জীবনে নেমে এসেছে এক অনিশ্চয়তার ছায়া।

Advertisements

এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঘোষণা করেছিলেন যে যাঁরা আদালতের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের পাশে থাকবে রাজ্য। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, এবার ‘গ্রুপ সি’ ও ‘গ্রুপ ডি’ চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের জন্য ঘোষণা করা হল মাসিক অনুদান প্রকল্প। শ্রম দফতর একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাস থেকেই এই অনুদান কার্যকর হবে।

অনুদান প্রকল্পের নাম ও বিবরণ
এই প্রকল্পটির নাম “ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভলিহুড অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি ইন্টারিম স্কিম, ২০২৫”। এই প্রকল্পের অধীনে গ্রুপ সি পদে থাকা চাকরিচ্যুত কর্মীরা মাসে ২৫,০০০ টাকা এবং গ্রুপ ডি পদে থাকা কর্মীরা ২০,০০০ টাকা করে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান পাবেন। এই অনুদান আদালতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চলবে।

Advertisements

কেন প্রয়োজন এই অনুদান?
চাকরি হারিয়ে বহু শিক্ষাকর্মী এবং তাঁদের পরিবার আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শিক্ষকদের ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বেতন-সহ চাকরিতে বহাল রাখা হলেও, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের একটি বড় অংশ সেই তালিকার বাইরে রয়ে গিয়েছিলেন। ফলে, তাঁরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। এই প্রতিবাদ ও চাপের জেরেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন একটি “রিভিউ পিটিশন” দাখিল করা হবে আদালতে, এবং পাশাপাশি তাঁদের আর্থিক সহায়তার জন্য বিশেষ প্রকল্প আনা হবে।

মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি রূপ পেল বাস্তবে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, “যাঁরা অন্যায়ভাবে চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের পাশে রাজ্য সরকার আছে। যতদিন না মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন সরকার তাঁদের পাশে থাকবে।” সেই প্রতিশ্রুতিই এবার রূপ পেল বাস্তব রূপে। রাজ্য সরকারের তরফে এই প্রকল্প ঘোষণা করার ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন কর্মহীন গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি শিক্ষাকর্মীরা।

ভবিষ্যতের দিশা
এই অনুদান প্রকল্প সাময়িক হলেও, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মীদের জীবনযাত্রা বজায় রাখতে এই অর্থিক সহায়তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অনেকেই আশা করছেন, মামলার রায় তাঁদের পক্ষে গেলে আবারও চাকরিতে ফিরে আসতে পারবেন।

Advertisements