HomeWest BengalKolkata Cityবিজেপি ২০২৯-এ ফিরতে পারবে না, দাবি মমতার

বিজেপি ২০২৯-এ ফিরতে পারবে না, দাবি মমতার

- Advertisement -

কলকাতা: বিজেপি সরকার ২০২৯ সালের লোকসভা ভোটের আগেই ভেঙে পড়তে পারে এমন বিস্ফোরক দাবি করে বুধবার সাংবিধানিক দিবসের অনুষ্ঠানে বিরোধী ঐক্যের আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

বুধবার কলকাতায় ড. ভীমরাও আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আজ যারা ক্ষমতায়, তারা আর ভবিষ্যতে থাকবে না। ২০২৯-এ বিজেপি আর কোনওভাবেই ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। সরকারের পতন তারও আগেই হতে পারে।”

   

তিনি আরও দাবি করেন, দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে এবং প্রশাসন থেকে রাজনৈতিক ক্ষেত্র সব জায়গায় নিরপেক্ষতার অভাব প্রকট। মমতার কথায়, “নির্বাচনের আগে ১০ হাজার টাকা দেবে, পরে সব লুটে নেবে এটাই এখন বিজেপির রাজনীতি। ‘জুট অর লুট’, এই চলছে দেশে।” তিনি বিরোধী দলগুলোকে একজোট হয়ে গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার আহ্বান জানান।

মমতা অভিযোগ করেন, বিজেপি বিরোধী রাজ্য বলে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার ‘টার্গেট’-এ পরিণত হয়েছেন। রাজ্যপাল পরিবর্তনের পর সেই চাপ আরও বেড়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমাদের ৪০০টি নোটিশ পাঠিয়েছে। ৪০ লাখ, ৪ কোটি নোটিশ দিলেও আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। ভয় দেখিয়ে থামানো যাবে না।”

গত কয়েক মাসে পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্যে BLO-দের মৃত্যু ঘিরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজস্থান, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাটেও একই ছবি দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “SIR করার জন্য মাত্র দু’মাস সময়! এটা কীভাবে সম্ভব? আমরা তিন বছর সময় চেয়েছিলাম।”
মমতার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে BLO-দের সমস্যা জানাতে ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। অতিরিক্ত চাপের ফলে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে এমনটাই তার দাবি।

এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ সদস্যের সাংসদ-দল শুক্রবার দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছে। তবে ইসি জানিয়েছে, মাত্র পাঁচজন সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। এরই মধ্যে ইসি পশ্চিমবঙ্গে তিন সদস্যের পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে, যারা SIR প্রক্রিয়ার অগ্রগতি খতিয়ে দেখবে।

সাংবিধানিক দিবসেই রাজ্যসভায় একটি নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ পায়, যেখানে বলা হয়েছে “থ্যাঙ্ক ইউ”, “জয় হিন্দ”, “বন্দে মাতরম” সহ কোনও স্লোগান না তোলার আর্জি জানানো হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে মমতা বলেন, “সংসদে ‘জয় হিন্দ’ বলা যাবে না এটা কি সম্ভব? বন্দে মাতরম আমাদের জাতীয় গান। এটা বাংলার গৌরব। এর পরিচয় মুছে ফেলতে চাইছে?”

মমতার সব দাবি খারিজ করে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ক্ষমতায় থাকবে না। বাংলায় গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই। বিরোধীদের র‍্যালি করতে গেলেই আদালতে যেতে হয়।”

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular