মৃণাল সেন হলেন মৃণাল সিংহ! চলচ্চিত্র উৎসবে কটাক্ষের মুখে মমতা

mamata-banerjee-mrinal-sen-name-controversy-kolkata-film-festival

কলকাতা: বৃহস্পতিবার নন্দনে অনুষ্ঠিত হল কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলা তথা ভারতবর্ষের প্রোথিত যশা অভিনেতা এবং চিত্র পরিচালক। ছিলেন বর্ষীয়ান গায়িকা আরতি মুখোপাধ্যায়। এই অনুষ্ঠানেই ফের একবার গন্ডগোল করে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বিখ্যাত চিত্র পরিচালক মৃনাল সেনের নাম গন্ডগোল করে প্রথমে বলেন মৃনাল সিংহ এবং তারপর একই ভুল আরও একবার করে তিনি বলেন মৃনাল সিনহা।

Advertisements

   

বড় ধাক্কা ভারতের! ১২টি Su-30MKI কেনার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে গেল আর্মেনিয়া

কিন্তু তার মুখ থেকে আসল নাম টা দুর্ভাগ্যবশত শোনা যায়নি। আর এই নাম বিভ্রান্তিতেই আরও একবার বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে মমতা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তার এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে বলেছেন। “এতদিন মাননীয়া বাঙালি অস্মিতার নামে নাটক করতেন। কিন্তু আজ তিনি বাংলার গর্ব মৃণাল সেনের নাম বিকৃত করলেন।

 

একজন বাঙালি হিসেবে এটা লজ্জার।” তিনি আরও লেখেন, “মৃণাল সেন শুধু একজন পরিচালক নন, তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের মহীরূহ। তাঁর সিনেমা সারা বিশ্বের ফিল্ম স্কুলে প্রদর্শিত হয়, তিনি বাংলার মুখ আন্তর্জাতিক মঞ্চে উজ্জ্বল করেছেন। আর সেই ব্যক্তির নাম মুখ্যমন্ত্রীর মুখে বিকৃত! ছিঃ, এটা বাঙালির লজ্জা।”

Advertisements

বিরোধীদের এই কটাক্ষে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও পাল্টা প্রতিক্রিয়া এসেছে। তৃণমূলের রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বদের মতে মমতা এই পশ্চম বঙ্গের সংস্কৃতির ধারক এবং বাহক এবং তারা আরও বলেছেন যে ভুল মানুষের হতেই পারে কিন্তু তা নিয়ে রাজনৈতিক স্তরে নোংরামি না করে বাঞ্চনীয়।

মানুষের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা এতটাই গভীর যে, এই ধরনের ছোট্ট ভুলকে নিয়ে রাজনীতি করা নীচতার পরিচয়।” তিনি আরও বলেন, “মৃণাল সেনের প্রতি মাননীয়ার শ্রদ্ধা অকৃত্রিম, তিনি সবসময় শিল্প-সংস্কৃতির পক্ষে থেকেছেন।”

তবে নেটিজেনদের একাংশের মতে, এই ভুলকে হালকা ভাবে নেওয়া যায় না। কারণ, কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব নিজেই এমন এক মঞ্চ, যেখানে সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন প্রমুখের নাম শ্রদ্ধাভরে উচ্চারণ করা হয়। এমন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে নাম ভুল উচ্চারণ অনেকের কাছেই হতাশাজনক লেগেছে।

এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই মানুষ নানা রকম মন্তব্যে ভরিয়ে দেন কমেন্ট সেকশন। কেউ লিখেছেন, “যিনি বাংলা সিনেমার পরিচালকদের নামই ঠিক করে বলতে পারেন না, তিনি সংস্কৃতি রক্ষার কথা বলেন কীভাবে?” আবার কেউ কেউ সহানুভূতির সুরে মন্তব্য করেন, “এটা হয়তো মুখ ফসকে বেরিয়ে গিয়েছে, অতটা বড় বিষয় নয়।”