‘মুসলিম কন্যা’ বিতর্কেই কি অপসারিত মহুয়া দাস?

Mahua-Das

নিউজ ডেস্ক: গত ২২ জুলাই এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়। যেহেতু করোনার কারণে এ বছর পরীক্ষা নেওয়া হয়নি, তাই মূল্যায়ণ পদ্ধতিতেও বেশ কিছু বদল আসে। এ বছর পরীক্ষার যে ফলাফল, তা একাদশের ফাইনাল পরীক্ষার নম্বর, প্র্যাকটিকালের নম্বর ও মাধ্যমিকের নম্বর যোগ করে তৈরি হয় চূড়ান্ত ফল। রেজাল্ট ঘোষণা করার সময় প্রথম হওয়া রুমানা সুলতানার নামের বদলে ‘মুসলিম কন্যা’ বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস।

Advertisements

ফল প্রকাশের পরই দেখা যায় মুর্শিদাবাদের এক ছাত্রী প্রথম হয়েছেন। নাম রুমানা সুলতানা। রুমানার নাম ঘোষণা করতে গিয়ে সেদিন বার বার মহুয়া দাসের মুখে উঠে এসেছিল ‘মুসলিম কন্যা’ শব্দটি। মহুয়া দাস বলেছিলেন, “সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে একটা ইতিহাস সংসদে হয়েছে। সেটা একটু বলতে ইচ্ছা করছে। যিনি এককভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন, তিনি একজন মুসলিম কন্যা। মুসলিম, মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে। একজন মুসলিম মেয়ে। তিনি এককভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন।” ঠিক তিনবার মুসলিম কথাটি বলতে শোনা যায় তাঁকে। যা নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা শুরু হয়।

   

আরও পড়ুন রুমানা বিতর্কে মহুয়ার পাশে তসলিমা

Advertisements

এবার শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল মহুয়া দাসকে। ভোটে জিতে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরেই ‘মুসলিম কন্যা’ ঘোষণা হওয়ায় আঙুল উঠেছিল রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। ফলে প্রথম থেকেই বিষয়টি ভাল ভাবে নেয়নি নবান্ন। যদিও সেদিনই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দেন, “একজন ছাত্রী ভালো ফল করেছে তাঁর মেধার ভিত্তিতে। ধর্মের ভিত্তিতে নয়। উচ্চমাধ্যমিক সংসদের সভাপতি যা বলেছেন তাকে আমি সমর্থন করি না। অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে। মেধা দিয়ে সবপথ অতিক্রম করা যায়। ধর্ম নিয়ে কিছু করা যায় না। ওই ছাত্রী মেধার ভিত্তিতে নিজেকে সবার সেরা করেছে। তাই এই ধরনের বক্তব্য অত্যন্ত অনুচিত।” এবার এসবের মধ্যেই নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করল সংসদ। নব নির্বাচিত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।